প্রথম বাংলা – বোমা ফাটিয়ে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডাকাতি করা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-মতিঝি ল বিভাগ।গ্রেফতারকৃতরা হলো মূলহোতা মোঃ হাছা ন জমাদ্দার ওরফে ল্যাংড়া হাছান,মোঃ আরিফ,মোঃ আইনুল হক ওরফে ভোলা, মোঃ সাইফুল ইসলাম মন্টু, মোঃ আনসার আলী ও মোঃ শাহিন। গ্রেফতা রের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১টি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি চাপাতি ও ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর ২০২২) রাজধানীর রামপুরা থানার হাজীপাড়া বৌ-বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম।আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর ২০২২) বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গো য়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,খিলগাঁও থানার একটি ডাকাতি মামলা ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা বিভাগ জানাতে পারে যে,সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্র অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি করে আসছে। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন,ডাকাতির মূলহোতা মোঃ হাছান জমাদ্দার ওরফে ল্যাংড়া হাছান অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এরপর হাছান প্রথমে জুয়েলারী দোকান এলাকাকে টার্গেট করে বাসা ভাড়া নেয় ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ডাকাতি র এক দিন অাগে বাংলাদেশে এসে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ডাকাতির করে। পরিকল্পনা অনুযা য়ী তারা প্রথমে বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং ৫- ৭ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণালংকারের দোকানে ডাকাতি করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির রামপুরা থানায় পৃথক পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।উল্লেখ্য, চক্রের মূলহোতা হাছানের বিরুদ্ধে ডিএমপিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রাজীব আল মাসুদ বিপিএম-সেবা-এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম পিপিএম ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলগাঁও জোনাল টিম অভিযানটি পরিচালনা করে।