February 13, 2025, 9:33 am
শিরোনামঃ
তালাকের পর যৌতুকসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল খানের সন্ধান মিলছে না শাহজাদপুরের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রীকে কারাগারে চন্দ্রগঞ্জ থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি বাড়ির লুটপাট”ভবন ধ্বংস করেছে সন্ত্রাসীরা আমিরাতে ডিপ্লোম্যাট কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশ কনস‍্যুলেট জেনারেল দুবাই রানার আপ হয়েছে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির বাড়িতে আগুন ভবন সহ 70-80 লক্ষ টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছে সন্ত্রাসীরা সমাজবিরোধীরা কোনো ব্যক্তিকে হুমকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পিরোজপুরে এলজিইডি”র ৩ প্রকৌশলীসহ পাঁচজন বরখাস্ত শাহজাদপুরে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

আমনের সবুজ ধানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

Reporter Name

মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না,বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগীতে আমন মৌসুমে ফসলি জমির মাঠগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে উফশী ও স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধান। ধানের সবুজ রঙে ভরে উঠেছে উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। উপকূল জুড়ে চলতি বছরে ঘূর্নিঝড় সিত্রাংয়ে আঘাত ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির সংকটের মাঝেও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও হাল ছাড়েননি কৃষকরা। গত মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যেও এবার কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১০ হাজার ৬৯২  হেক্টর। তবে আশার কথা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের বিবিচিনি,বেতাগী,হোসনাবাদ, মোকামিয়া,বুড়ামজুমদার,কাজিরাবাদ ও সড়িষা মুড়ি ইউনিয়নের  বিভিন্ন এলাকায় বেশি জমিতে  উফশী ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর ও স্থানীয় ৬ হাজার ৫৬০ মোট ১০ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা সত্বেও যতটুকু সঠিক সময়ে চারা লাগানো থেকে শুরু করে বীজ ও সার সংকট না থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত হলে ধানের রোগ-বালাই অনেকটাই কমে যাবে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে আবার কোথাও এরও কম সময়ে চলতি মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে গিয়েই দেখা যায় মৃদু হাওয়ায় সবুজ ধানের দোল।

উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছরে সারে ৩ একর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। ফসল তোলার আগে কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব। সদর ইউনিয়নের কৃষক মোশারেফ হোসেন বলেন, প্রচন্ড রোদ-বৃষ্টিতে চাষাবাদে কস্ট হলেও খেতের দিকে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। শুধূ এরাই নয়, বেতাগী পৌরসভার  মো: কামরুল হাসান ও মো: ফরিদ হোসেন জানান, দুর্যোগে সংকটের পরেও হাল ছাড়েননি। উপকরণের  মুল্যবৃদ্ধি ও নানা ঝুঁকি মাঝেও কৃষি বিভাগের নির্দেশনা মেনে কাজ করেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মো: ইসা জানান, চলতি আমন  মৌসুমে শুরু থেকেই কৃষকদের চাষাবাদে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি দেশের উন্নয়নের বড় মাধ্যম্। সরকার দেশের কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে কৃষক খুব কম কস্টে অধিক পরিমান ফসল উৎপাদন করতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছরে  এ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST