প্রথম বাংলা – এনজিওর আড়ালে জাল কাগজপত্র তৈরি করে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ চক্রের আরো এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ রিয়াজ মাহমুদ। এসময় তার হেফাজত থেকে ১ টি মোবাইল ও ১টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের আরো ৭ সদস্যকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার চাঁদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে রিয়াজ মাহমুদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
এ বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম পিপিএম ডিএমপি নিউজকে বলেন,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের কথা বলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভুয়া তথ্য যুক্ত ই-মেইল পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহের আবেদন করা হচ্ছে,মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধির এমন অভিযোগে ডিএমপির গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
তিনি বলেন,গ্রেফতারকৃত রিয়াজ মাহমুদ একটি আন্তর্জা তিক মানব পাচার চক্রের সদস্য রিয়াজসহ ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত এই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা।এনজিওর আড়ালে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে আমেরি কা,ফ্রান্সসহ উন্নত দেশগুলোতে মানব পাচার করছে। তারা এনজিওর বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয়ে কনফারেন্সে যোগদানের জন্য জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ই-মেইল প্রেরণ করতো। পরবর্তীতে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসে হাজির হয়ে জাল কাগজপত্র দাখিল করে আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতো।
গ্রেফতারকৃতদের এ ধরনের প্রতারণায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই চক্রের কারণে যে সকল ব্যক্তি প্রকৃত কারণে মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করেন, তারা নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।গ্রেফতার কৃত রিয়াজ মাহমুদকে গুলশান থানায় রুজুকৃত মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।