April 20, 2025, 4:01 am
শিরোনামঃ
শাহজাদপুরে মাচাল তৈরিকে কেন্দ্র করে যুবক নিহত, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তা না থাকায় বিপাকে পড়েছে গোটা পরিবার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণ নির্ধারণ করবে : যুক্তরাষ্ট্র দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না :মির্জা ফখরুল ময়মনসিংহে ডিবি হেফাজতে অমানষিক নির্যাতন যাত্রাবাড়ীতে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা ময়মনসিংহ অফিসার্স ক্লাবের শুভ উদ্বোধন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে সফল মানবিক সহায়তা শেষে দেশের পথে বাংলাদেশের উদ্ধার ও চিকিৎসা দল
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

কাউয়া এখন শুধু রাজনীতিতেই নয় সাংবাদিকতায়ও আছে প্রবলভাবে

Reporter Name

খান মেহেদী :- সাংবাদিকতায় আমি হয়ত কয়েকটি বছর তবে কম সময়ে মুখ আর মুখোশ চিনতে ভুল করিনি।নিত্য দিনের চলাফেরায় অসৌজন্যতার এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় যে মাঝে মধ্যে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয়।

শুধু আমি নই, আমরা যারা সত্যটা সাহস করে বলে ফেলি তাদের অনেকেরই একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে নিশ্চয়। কিন্তু এই অতি সাধারণ সৌজন্যতাবোধ কেনো আমাদের ভেতর থেকে দুরীভূত হয়ে যাচ্ছে,সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এখন যেমন অনেক আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছি,ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বেড়েযাবে দেখার কথা,এ বিষয়ে আমরা সঠিকভাবে কিছু ভাবছি কি?

কিছু মানুষ তো বরাবরই সরকারি দলে!
যখন যে দল ক্ষমতায় তখন তারা সেই দলের,পাড়ার নেতা থেকে শুরু করে রাজনীতির বড় নেতা। আমার ধারনা ওই প্রকারের মানুষ কখনো কারো হতে পারে না। রাজনীতিতে ওই ব্যক্তিরা হাস্যরস বা বিনোদনের জোগান দেয় যেমন তেমন কখনো কখনো তাদের দ্বারা ভয়ংকরতম কিছু ঘটে ও থাকে। এখন সব মৌসুমে সরকারি দলে এমন নেতার সংখ্যা বেড়েছে ধরা যেতে পারে জনবিস্ফোরণের মতো।

তাদের প্রবৃদ্ধি এতটাই হয়েছে যে,প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা তৃনমূলে বঞ্চিত।এখন প্রায় সকলেই সরকারি দলে র,এমন কি তারা দৃশ্যমানও।প্রকৃতরা চলে গেছেন,দৃশ্যমান কর্মী-নেতাদের আড়ালেএই দৃশ্যমানরা কাউয়া’দের মুখোশ খসে পড়ছে প্রায় প্রতিদিন। অতিতে তাদের কিছুই ছিল না রাতারাতি হয়ে উঠেছেন যেন কোটিপতি।পরনে মুজিবকো ট,বুকে নৌকার ছবি,নিজেদের ব্যাক্তিগত অফিসে নেতাদে র ছবি টানিয়ে ওই প্রজাতিটি শুধু নিজেদের অপরাধ ঢাক তে বা প্রভাব বিস্তার করতেই ব্যবহার করে আসছে।

হয়তোবা অতীতে বিএনপি’র সময়েও এমন প্রজাতির হাঁক ডাক ছিল অনেক তার শত প্রমান রয়েছে বাকেরগঞ্জের রা জপথে। অনেকেই বলে থাকেন ২০০১ সালের পর থেকে এমন ‘কাউয়া’প্রজাতির প্রজনন বাড়তে থাকে বাকেরগঞ্জে এ নিয়ে সকল দলের অভ্যন্তরে কথা হচ্ছে তারা বিব্রতও ব টে।কাউয়া’ কি কেবল রাজনীতিতেই আছে? সাংবাদিকতা য়ও তারা আছেন প্রবলভাবে।অনেকে ব্রিফকেসের বিনিম য়ে বড় পত্রিকার সাংবাদিক বনে গেছেন।তারপর বেসরকা রি টেলিভিশন বিস্ফোরণ ঘটার পরেও নানা রূপের সাংবা দিকরা আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

অধিকাংশই সরকারি দফতরের কর্মকর্তা,কর্মচারী ও সাধার ণ মানুষকে হয়রানি,তাদের ভয় দেখানো ও প্রতারণারলক্ষ্য নিয়ে ছুটছেন অর্থ উপার্জনের ধান্দায়। অনেকে নিজেকে আরালে রেখে দালাল ধরেন বড় পত্রিকায় সংবাদ ছাপানো র বানিজ্যে। এমন অনেক তথ্য রয়েছে আরালে।কিন্তু তা দের পেশা ভিন্ন। সাংবাদিকতার নাম সঙ্গে রাখা,প্রতিপত্তি র মাত্রা বাড়ানোর জন্য।এই ধরনের সাংবাদিক নিজেদের সমৃদ্ধ ও অপরাধ জগত প্রশস্ত করতে রাস্তার হকার,ক্যান ভাসার,চিহ্নিত মাদক ব্যব সায়ী,ছিঁচকে চোর,পতিতা,গন্ড মূ র্খ,পুলিশের সোর্স,চায়ের দোকানিকেও সাংবাদিক বানিয়ে দেয়ার অভিযোগও প্রমানিত।

এই সাংঘাতিক’দের দৌরাত্ম্য এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এদের জন্য মুশকিল হয়ে উঠেছে পেশাদার সাংবাদিকদে রও কাজ করা। বর্তমানে বাকেরগঞ্জ শহর বন্দর গ্রামগঞ্জে পেশাদারদের চেয়ে ‘সাংঘাতিক’দেরই রাজত্ব।এরা কখনো রাজনৈতিক নেতা,কখনো ব্যাবসায়িক তবে এদের প্রকৃত রুপ চেনা বড় কঠিন।পরিচিত বা মূলধারার পত্রিকা,অনলা ইন পোর্টাল বা টেলিভিশনের সাংবাদিকরা তুলসি পাতা,এ মন দাবি করার সামর্থ্য নেই। কারণ মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে বার্তা কক্ষে এমন কেউ কেউতো আছেনই।

আবার অনেকে অবৈধ টাকা দিয়ে স্থানিয় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকও হয়েছেন। এরাও তৈরি হন শিল্পগোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিল করার প্রক্রিয়ায়। সকল পেশার মতো এই পেশাতে ই নৈতিক স্খলন ঘটে এমন মানুষ নেই,সে কথাও বলাযাবে না। তারা আছেন,হয়তো থাকবেনও।গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নজর রাখতে হবে,তাদের কর্মীরাযেন সাংবাদিকতার চৌকা ঠ ডিঙিয়ে সাংঘাতিক না হয়ে উঠেন।একইভাবে অপরাধ জগতের মানুষের সঙ্গেও সখ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সক ল স্তরের পেশাজীবী সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা দরকার আছে বলে আমি মনে করি। তাই অপরাধি যেই হউক প্রকৃত সাংবাদিকদের দায়িত্ব তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়া।

একই সাথে অনুরোধ করছি প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাদের তারা যেন এইসব মৌসুমি কাউয়া নেতাদের প্রশ্রয় না দেন আর আমার এই অনুরোধটি একটু বিবেচনা করলে অন্তত মৌসুমি কাউয়া নেতা ও সাংঘাতিক অনুপ্রবেশে কিছুটা হলেও ভাটা আনা যাবে।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST