প্রথম বাংলা – রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযো গে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আল আমিন ও মোঃ কাশেম আলী। এসময় তাদের হেফাজত থেকে এক লক্ষ ৮২ হাজার জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন ও ১টি প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।সোমবার (২৪ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি.) বিকাল ৪:১০টায় খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, পিপিএম-সেবা ডিএমপি নিউজকে জানান, খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ানের শান্তিপুর এলাকার একটি বাসার ছাদে কয়েকজন লোক জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় করছে মর্মে তথ্য পায় পুলিশ। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় থানার একটি টিম। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আল আমিন ও কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে গ্রুপ খুলে জাল টাকা বিক্রির জন্য ক্রেতার খোঁজে প্রচার-প্রচারণা চালাতো। গ্রুপে যোগ দেয় জাল টাকার ব্যবসা করতে ইচ্ছু ক কিছু যুবক। তারা মেসেঞ্জার, হোয়াটস্অ্যাপ ও টেলি গ্রাম ব্যবহার করতো। এরপর শুরু হতো তাদের দরদাম ও কেনাবেচা। জাল টাকাকে তারা বিভিন্ন নামে ডাকতো যেমন- প্রোডাক্ট, মাল বা প্যাকেট।
জাল টাকা বিক্রির কৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, তাদের এ সাপ্লাই চেইন কয়েকটি ধাপে কাজ করতো। প্রস্তুতকার কের কাছ থেকে পাইকারি বা মধ্যসত্ত্বার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছায়। প্রথম দিকে পাইকারি ক্রেতারা সরাসরি ‘প্রোডাক্ট’ গ্রহণ করলেও বিশ্বস্ততা বাড়লে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় বিলি করতো।
উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল) আরো জানান, পুলিশের নজর এড়াতে ছোট নোটকেই টার্গেট করতো গ্রেফতার কৃতরা। কারণ ছোট নোটের বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার আশঙ্কা কম থাকে। হাতেনাতে ধরা পরা এড়াতে তারা অপেক্ষাকৃত কম আয়ের মানুষকে টার্গেট করতো। ঈদ-উল-ফিতরের পর ভারত থেকে উন্নতমানের সিকিউরিটি পেপার এনে জাল টাকা প্রিন্ট দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।