মোঃ রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ.শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কি শোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের জেন্ডার প্রমোটার, শিক্ষ কসহ সংশ্লিষ্টদের বেতন ভাতা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয় রানির অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উ পজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজালহোসেনের বিরুদ্ধে।বিষয়টি নিয়ে বুধবার(৩ এপ্রিল)ভুক্তভোগীরা শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বি গত ৭ মাস আগে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যো গদানের পর থেকে আফজাল হোসেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।যার কারণে কিশো র কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার ও শিক্ষকরা বেত ন ভাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন।
যোগদানের পর থেকে শিক্ষকদের বেতন সম্পূর্ণ না দি য়ে আংশিক প্রদান করা,সিএমসি মিটিং না করেসম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করা,ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তার টাকা আংশি ক প্রদান করা,নিজস্ব লোকজনকে নিয়োগ প্রদান করা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ঘুষের মাধ্যমে করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া,বেতন ভাতা দেওয়ার সময় রেভিনিউ স্টাম্প ব্য বহার না করা,গভীর রাতে শিক্ষিকাদের মোবাইলে ফো ন করে অসাজিক কথা বার্তা বলাসহ অকারণে গালম ন্দ করেন এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।এসব অনিয়ম থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগী ১৪ জন জেন্ডার প্রমোটা র ও শিক্ষক-শিক্ষিকা লিখিত আকারে অভিযোগ দিয়ে ছেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।
ভুক্তভোগী জেন্ডার প্রমোটার তানজিলা আফরিনবলেন ,কোনটা রেখে কোনটার কথা বলব।এখানে নানা রকম সমস্যা সিএমসি মিটিংয়ের টাকা দেওয়া হয়নি। ৪ টি ই উনিয়নের দারোয়ানদের সম্মানি দেওয়া হয়নি শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন আংশিক দেওয়া হয়। শিক্ষিকাদের অনৈতিক কথা বার্তা বলেন তিনি বিষয়গুলো নিয়ে ইউ এনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি সুন্দর একটি সমাধান পাবো।
সোলায়মান নামে আরেকজন জেন্ডার প্রমোটারবলেন , মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।শিক্ষার্থীদের নাস্তার টাকা ঠিকমত দেয় নাশিক্ষকদের বেতনের টাকা কেটে রেখে দেয় বিষয়টি নিয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মক র্তা আফজাল হোসেন বলেন,বরাদ্দ পাইনি বলে তাদের ভাতা দিতে পারিনি। বরাদ্ধ এসেছে, আগামি সোমবার তাদের সম্মানি দিয়ে দেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, এটা একটি দাপ্তরিক বিষয়। এবিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।