লেখক = সুলতানা আক্তার রুমা
অনলাইন প্রতিবেদন
সিগারেটে, রাস্তায় কিংবা বাসায় মাঠে কিংবা ঘাটে কোথাও স্বস্তির
নিংশ্বাস ফেলা যাচ্ছে না।
মুশকিল হয়ে গেছে রাস্তায় চলাচল করা।
কোথাও একটু ফ্রেস নিংশ্বাস নেয়া যায় না খুব ভয়াবহ অবস্থা।
কোন পার্কে ঘুরতে যাই মহিলা পুরুষ ছোট ছেলেদের হাতে চায়ের কেটলি আর সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।
একদিন আমি একজন মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম তা বিক্রি করছেন ভালো কথা কিন্তু সাথে সিগারেট কেন বিক্রি করছেন।
তখন মহিলাটি বললো পেটের দায়ে করছি সিগারেটের প্যাকেট সাথে না থাকলে কেউ চা খেতে চায় না
তাই বাধ্য হয়ে সিগারেট বিক্রি করতে হয় ।
ছোট বড় সব বয়সের পুরুষদের সিগারেট খেতে দেখা যায় ।
ঘরে খাবার থাকুক বা না থাকুক কিন্তু পুরুষ মানুষের পকেটে সিগারেট খাওয়া
মতো টাকা ঠিকই থাকে।কম বেশি প্রায় ৯৯% পুরুষ কিংবা ছেলেরা।
সিগারেট এর নেশায় আসক্ত। ইদানিং কিছু মেয়েকে ও দেখা গেছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে। বর্তমানে ঢাকা শহরের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ ।
কোথাও দাঁড়ানো যায় না নিংশ্বাস ফেলা যায় না খুব খারাপ লাগে বাহিরে বের হলে।
বাংলাদেশে সিগারেট কোম্পানিগুলোর পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে কেউ দেখার মতো নেই বললেই চলে।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন
ছেলেরা সিগারেট খেলে সমস্যা নাই কিন্তু মেয়েরা খেলে না না রকম কথা হয়।
অথচ সিগারেট এর ধোঁয়া যখন মুখ থেকে বের হয় তখন রাস্তায় চলাচল করা মানুষের নিংশ্বাস এর সাথে ভেতরে প্রবেশ করে এই ধোঁয়া।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা সিগারেট খায় তাদের যতটুটু ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যারা সিগারেট খায় না রাস্তায় হাঁটাচলা করছে তারা।
এই সিগারেট কতটা খারাপ তা দেখে জেনে শুনে সবাই খাচ্ছে।
এমন কি ক্যান্সার হয় যেনে ও সবাই খাচ্ছে। এই সিগারেট এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করার কারণে পুরুষ মানুষ গুলো তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলছে ঘরে ঘরে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
বেড়েই চলেছে ডিভোর্স এর সংখ্যা
তাই আসুন আমরা সবাই স্বাধীন ভাবে চলতে এ সকল নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ শুরু করি এবং আমাদের
প্রজন্ম কে সুস্থ সুন্দর একটা দেশ উপহার দেই।