চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চক্রোস কানন আবাসিক এলাকা কালাম সাহেবের বিল্ডিং নিচতলায় গত ১৯/৪/২০২৩ ইং রহিমা নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে দর্শনের অভিযোগ উঠেছে। দর্শনকারী ব্যক্তি হলেন মোঃ বাবুল মিয়া, পিতা মৃত আব্দুল মতিন, মাতা সায়েরা বেগম, বাড়ি বামন্ডা গাজী বাড়ি ,গ্রাম মুজাফরগঞ্জ, থানা লাকসাম, জেলা কুমিল্লা, বাবুল মিয়া একজন রিকশা চালক। তার গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে সন্তান রয়েছে, এবং রহিমার পূর্বে বিয়ে হয়, দুটি সন্তান রয়েছে স্বামীর সাথে বিরোধ যোগাযোগ নেই, এই সুযোগের জের ধরে, ঘাতক বাবুল মিয়া, নিরীহ সহজ সরল গার্মেন্টস কর্মী রহিমাকে ব্যাচেলার ছেলেদের রান্নার ম্যাচ চালানোর কথা বলে, কালাম সাহেবের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেন, বাসার মালিক কালাম সাহেব তাদের বয়স বাচ্চা দেখে এবং আইনগত সকল নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে বাসা ভাড়া দেয়, তিনি অত্র আবাসিক এলাকার সাবেক সভাপতি সম্মানিত ব্যক্তি। এরপর বাবুল ও রহিমা দম্পতি বাসায় থাকতে শুরু করে, কিছুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ মারামারি ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়, একপর্যায়ে রহিমার চিৎকার শুনে বাড়ির মালিকসহ আশেপাশের ভাড়াটিয়া ছুটে যায়, গিয়ে জানতে পারে রহিমা কানতে কানতে বলল বাবুর মিয়া আমার স্বামী নয়, তিনি আমাকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নির্যাতন, দেহ মিলন করে আসছে। আমি বিয়ের কথা বললে আমাকে মারধর করে,তখন বাবুল মিয়া ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং রাতে বায়েজিদ থানা থেকে মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে আসে, পুলিশ এসে সঠিক তদন্ত করে জানতে পারে মূল অপরাধী বাবুল মিয়া। আসামি বাবুল মিয়ার পালিয়ে যান, এরপর রহিমা এলাকাবাসী ও বাড়ির মালিকের সাহায্যে বায়েজিদ থানায় ঐদিন রাতে ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলার নং ৩৬/১৭৯ বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস জাহানের নির্দেশে তার চৌকস পুলিশ টিম, আসামি বাবুর মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং রহিমাকে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসি বিভাগীয় ডিএনএ স্কিনিং ল্যাবরেটরীতে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক দিন থাকার পর রহিমা বাসায় ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে যার কারণে মামলার বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নিতে পারেনি ,এরই মধ্যে ডিএনএ টেস্ট এর রিপোর্ট না আসার আগেই আসামি বাবুল মিয়া কিভাবে জামিন পেল, জামিনে বের হয়ে আসামি বাবুর মিয়া রহিমাকে মোবাইলে হুমকি মেরে ফেলবে লাশ গুম করে ফেলবে যদি মামলা না ওঠায়। তাই রহিমা প্রশাসনের দৃষ্টি আকুল আবেদন জানিয়েছে সে তার জীবনের নিরাপত্তা যাচ্ছে । এবং তার প্রশ্ন নারী নির্যাতন মামলার অন্যতম আসামি বাবুর মিয়া এত দ্রুত কিভাবে জামিন পেল, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী নির্যাতন মামলা কে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য আইন তৈরি করেন তাই সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকুল আবেদন জানিয়েছে এই ধরনের পাপিষ্ঠদের আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা দেওয়া হোক ,অন্যথায় এরা আমার মত আরো অন্য কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করবে।