নূর মোহাম্মদঃ নিজের চাইতে বয়সে বারো বছরের ছোট দুলালের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ২২ বছরের সংসার তছনছ করে দিলো ফাতেমা বেগম পুতুল।
পুতুল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের মাঝির গাঁও গ্রামের কেয়াম উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ীর আলী হোসেনের মেঝো মেয়ে।১৯৯৭ সালে কাতার প্রবাসি রফিক উদ্দিনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পুতুলের। রফিক রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে।
বিয়ের পর পুতুল রফিকের সংসার ভালোই চলছি লো। তাদের ঘরে একে একে জন্ম নেয় ২টি মেয়ে ও দুটি ছেলে।স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সুখে রাখতে কাতা রে দিনরাত পরিশ্রম করে রফিক। বিদেশে কামানো টাকা যখন যা চাইতো তুলে দিতো স্ত্রীর হাতে।ভালো ই চলছিলো তাদের সংসার। হঠাৎ সুখের ঘরে কাল বৈশাখী ঝড় হয়ে আসে দুলাল নামের পুতুলের পর কিয়া প্রেমিক।দুলাল রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ির মন্তাজ বেপারীর ছেলে।
রফিকের অনুপস্থিতিতে চলতে থাকে পুতুল দুলালে র অবৈধ মেলামেশা। দুলাল হাতিয়ে নিতে থাকে রফিকের প্রবাস জীবনে কামাই করা স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়শা সব কিছু।নিজের সন্তান স্বামীর কথা না ভেবে পুতুলের অবৈধ মেলামেশা লাগামহীনভাবে চলতে থাকে দুলালের সাথে, সেই সাথে চলতে থাকে লুটপাট।পাপ কখনো চাপা থাকে না, তাদের প্রেমলী লাও আর গোপন থাকলো না।
রফিকের কানে অবৈধ প্রেমের খবর পৌঁছাতে বিদে শ ঘুটিয়ে দেশে চলে আসে।পুতুলকে বুঝাতে থাকে। এরই মধ্য রফিকের ঘর ভিটাসহ ২১ শতাংশ জমি নিজের নামে লিখে নেয় পুতুল।বিদেশে কামাই করা সর্বস্ব দিয়ে ঢাকায় ৪ টি প্লাট কিনে রফিক।চল-চাতু রী আর কৌশলে তাও হাতিয়ে নেয় পুতুল।সবকিছু আত্মসাৎ করে সুযোগ বুঝে প্রেমিক দুলালের সাথে পাড়ি দেয় পুতুল।ভেঙ্গে যায় পুতুল রফিকের সাজানো সংসার, ৪ টি সন্তানের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
কান্না জড়িত কন্ঠে রফিক জানায়,আমার সারা জীব নের কামাই,সব কিছু চল-চাতুরী করে হাতিয়ে নিয়ে ছে পুতুল। এখন আমার ঘর ভিটাও সে বিক্রি করতে চায়, আমি সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবো?পুতুলের বাবা আলী হোসেন জানায়, পুতুল যা করছে তা জঘন্য। আমি তাকে মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিতে চাই না, তাকে ত্যজ্য করবো।দুলালের বক্তব্য জানতে চাইলে সে বলে, এ ঘটনায় মামলা হামলায় আমি আমি নিঃস্ব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুতুল বলে, জমি আমার নামে, আমি যা খুশি তাই করবো।