প্রথম বাংলা -বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদগুলো কে ‘আংশিক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অতিরঞ্জিত’ আখ্যায়িত করে এসবের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার সংগঠনের এক প্রতিবাদলিপিতে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও ‘বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করে বলা হয়েছে, তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ‘মিথ্যা’ ও ‘অতিরঞ্জিত’ তথ্য অনুকরণে দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশরে সভাপতি ও এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণসম্পাদ ক নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সই করা প্রতিবাদলিপিতে অভিযোগ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদনের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, “তথ্যসূত্রবিহীন বাস্তবতা বিবর্জিত অতি কথিত এ ধরনের রিপোর্টে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার সদস্যদের মনোবল ক্ষুণ্নের পাশাপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীদের অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার ভূমিকাকে জনসমক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করে পুলিশকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য কতিপয় মিডিয়া অত্যন্ত সচেতনভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এক ধরনের কুৎসিত প্রচার যজ্ঞে শামিল হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।”
এতে আরও বলা হয়, কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ ও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায়’কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছে, যা সাংবাদিকতার নীতিমালা বিরোধী।
এমতাবস্থায়,কি কারণে,কার উদ্দেশ্য হাসিল এবং কারম্যানডেট বাস্তবায়নের জন্য কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা রটনায় লিপ্ত- সেই প্রশ্ন উত্থাপন করা অযৌক্তিক নয়।”
গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে গঠনমূলক সমালোচ না গ্রহণ,সেই সঙ্গে খণ্ডিত বা আংশিক সংবাদ প্রকাশের প্রতি বাদ এবং কোনো ঘটনার সামগ্রিক চিত্র উঠে আসা এবং সত্য উন্মোচিত হওয়ার আশা করা হয় প্রতিবাদলিপিতে।
এ ধরনের ‘অপপ্রচার’ সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করা এবং দেশ বিরোধী চক্রান্তের অপকৌশল কিন, সেই প্রশ্নও তুলেছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের ‘বিভ্রান্তিক র রিপোর্ট’ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো সর্তকতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।