সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবি : স্টাফ রিপোর্টার।
ইজিপিপি- প্লাস প্রকল্পের অধীনে সড়কের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
সম্প্রতি উলিপুরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের ব্যাঙের ভিটা মুন্সিপাড়া থেকে কল্যাণ মাঠ পর্যন্ত এ সড়ক সংস্কার হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা দুূর্গম এলাকার এক সময় বাজারে যাওয়া – আসার জন্য গ্রামীণ সড়কই ভরসা ছিল। অনুন্নত এসব সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরের যাতায়াত করতে হতো স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বর্তমানে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মীর সংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি- প্লাস) প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকা বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো,
বিশেষ করে যেখানে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী ছিল সেখানে ইজিপিপি প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে। সড়কের পাশে জঙ্গল কেটে সরু রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর তৃণমূলের (আন্তসড়ক ও গ্রামীণ) সড়ক যোগাযোগ এর আগে জনপদের একেবারে অনুন্নত এলাকায় কাবিটা ও ৪০দিনের প্রকল্পে অতি দরিদ্র নারী- পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে পাল্টে যেত জন পদের চিত্র।
এভাবেই প্রতিটি জনপদের গ্রামীণ সড়কে আমূল পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে।
ইজিপিপি প্রকল্পের অধীনে সড়কে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
সম্প্রতি উলিপুরের দুূর্গাপুর ইউনিয়নের এসব প্রকল্পের আদলে শুরু হয়েছে গ্রামের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানে কর্মসূচী (ইজিপিপি +প্লাস )মূলত ২২০দিনের প্রকল্পের আদলে এই কর্মসূচীতে এলাকার অতিদরিদ্ররা দৈনিক হাজিরা হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
উপজেলা অনুন্নত গ্রামীণ রাস্তাকে জনচলাচল উপযোগী করতে ইজিপিপি প্রকল্পেজ প্রথম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এতে মোট ৩৯৪ জন অতিদরিদ্র নারী- পুরুষের শ্রমের বিনিময়ে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতি ৪০০ টাকা নিজস্ব মোবাইল একাউন্টে কয়েক ধাপে শ্রমিকরা মজুরী পাবেন।
ইউনিয়নের ব্যাঙের ভিটা মুন্সিপাড়া থেকে কল্যাণ মুখী সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, এই অনুন্নত পাড়ার হেঁটে চলার রাস্তা প্রশস্ত করণে মাটি কাটছেন, ৭০জন নারী- পুরুষ।
এ সময় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, এই গ্রামের শতাধিক মানুষ হেঁটে গ্রামীণ সড়কে দিয়ে মোটর সাইকেলে হাট বাজারে যাওয়া- আসা করত। এখন মাটির কাজ হয়ে গেলে গ্রামের ভিতরে এম্বুলেস আসবে। ছেলে – মেয়েরা অনায়াসে স্কুলে যেতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই ৪ নং ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকার পাড়া বা গ্রামে যাতায়াতের অনুন্নত রাস্তা রায়পাড়া, কানিপাড়া, পুলিশের মোড় থেকে কল্যাণ মোড় পর্যন্ত এই প্রকল্পে জন চলাচল উপযোগী করা হবে।
স্থানীয় সফিকুল ইসলাম বলেন,
এই রাস্তা এক সময় ছিল না তবে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করে এ রাস্তা এখন চলাচলে উপযোগী হয়ে পড়েছে
আমরা এই রাস্তা দিয়ে সাচ্ছন্দে চলাচল করতে পেরে আমরা এলাকাবাসি অত্যান্ত খুশী।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ বলেন, গ্রামীণ সড়কের মধ্যে একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় যাওয়ার রাস্তাঘাটে উন্নয়নের ছোঁয়ার অংশ হিসেবে ইজিপিপি প্রকল্পে এই ইউপিতে প্রথম পর্যায়ে আটটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইজিপিপির কাজ হাতে পেয়ে খুশি শ্রমিকরা, তবে তাদের পারিশ্রমিকের বিল বিলম্ব হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে শ্রী লক্ষী কান্তিরায় বলেন,
আমরা কষ্ট করে কাজ করছি যদি আমাদের পারিশ্রমিক বিল সঠিক নিয়মে দিত তাহলে কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হত। আপনাদের মাধ্যম দিয়ে আমরা আবেদন জানাই অতিতারাতারি যেন আমাদের পারিশ্রমিক বিল হাতে পাই এটাই আমাদের দাবি।