ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্ব পূর্ণ সড়কগুলো পাশের মাছের দীঘি,পুকুর ও মাছে র ঝিলের কারণে নির্মাণের কিছুদিন পরই ভেঙ্গে পড় ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের এই সড়কগু লো নির্মাণে কোটি কোটি ব্যয় হলেও কতিপয় মাছে র ব্যবসায়ীর খামখেয়ালিপনার কারণে অর্থের অপ চয় হওয়ার সাথে সাথে জনদুর্ভোগ বাড়ে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী সড়কের পাশের মাছের খামার কর তে হলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিজেদের গাইডওয়াল করার বাধ্যতামূলক রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কেউই এসব করছে না।সর্বশেষ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হামচাপুর এলাকার দিঘিরপাড় নামক স্থানে সড়কের প্রায় ২৫০/৩০০ ফুট জায়গার মাটি ভেঙ্গে মূল সড়কের কিছু অংশ দিঘির মধ্যে ধ্বসে গেছে। সড়কটি ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা -খাজুরিয়া বাজার হয়ে পাশবর্তী রামগঞ্জ এবং হাজীগঞ্জ উপজেলায় যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
এছাড়া উপজেলার পাটওয়ারী বাজার-শোল্লা বাজা র সড়কের বিভিন্ন অংশ,ফরিদগঞ্জ-মিরপুর- কড়ৈত লী সড়কের বিভিন্ন অংশ,ফরিদগঞ্জ-চান্দ্রা বাজার সড়কের বিভিন্ন অংশে এই দৃশ্য দেখা গেছে। সম্প্রতি এলজিইডি পাটওয়ারী বাজার- শাহী বাজার সড়ক মেরামত করছে। যেই সড়কটির বিভিন্নস্থানে মাছের খামারের কারণে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।গুপ্টি পশ্চি ম ইউনিয়নের স্থানীয়রা জানায়,কয়েকমাস আগে থেকেই সড়কটিতে ফাটল ধরে ছিল। দীঘির পাড়টি ধ্বসে পড়ায় সড়কের ভাঙ্গণ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা,দ্রুত সড়কটি বা দীড়ি পাড় সংস্কার করা না হলে আসন্ন বর্ষায় সড়কটি ভেঙ্গে দিঘির মধ্যে বিলীণ হয়ে যাবে।দীঘিতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর আগে সরকারি ভাবে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও মৎস্য ব্যবসায়ী কতৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সেটিও বিলীণ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ বলেন,হামছাপুর এলাকাবাসী আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে,লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চিঠি পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন,সড়নে পাশে থাকা জলাশয় গুলো তে মাছের চাষ করলেও মৎস্য ব্যবসায়ীরা সড়কের নিরাপত্তার জন্য পাশের গাইড ওয়াল নির্মাণ করার কথা । আমি ওই সড়কটি দেখেছি। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।