——————————————————হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতি নিধিঃ জিতলেই সুযোগ ছিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউটে খেলার, বি গ্রুপের এমন ম্যাচে ইরানকে গোল করার কোনো সুযোগই দিল না যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রিস্টিয়ান পুলসিকের গোলে লিড নিয়ে রাখে দলটি। সেই গোলটাই শেষমেষ গড়ে দেয় পার্থক্য। আর তাতে ইরানকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উঠল যুক্তরাষ্ট্র।আল থুমামা স্টেডিয়ামে সোমবার ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্দান্ত এ জয়ে আট বছর আর পাঁচ ম্যাচ পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ ষোলোয় ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তারা।
সম্প্রতি সরকারি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমা লোচনা করে জাতীয় দলের ফুটবলাররা পড়েছেন বিপাকে।আটক নির্যাতন সহ সম্মুখীন হচ্ছেন নানা ধরনের হুমকির।এতসব চাপ মাথায় নিয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলতে নেমে ছিল ইরান।তবে মাঠের বাইরের বিতর্ক প্রভাব ফেলে ছে দলটির খেলায়।
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যেতে হলে আমেরিকার বিরুদ্ধে ড্র করলেই হত ইরানকে।দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তারা হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। ইরানের বিশ্ব কাপ সপ্ন শেষ করে দেওয়া গোলটি এসেছে ক্রিশ্চি য়ান পুলিসিচের পা থেকে।
গোল খাওয়ার পরে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে ইরান। দলের বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ। তবে শেষ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করেও ম্যাচের সময় ফেরাতে ব্যর্থ হয় দলটি।৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে শেষ ষোলোয় গেল আমেরিকা।দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে রক্ষণে সময় ব্যয় করা ইরান দ্বিতীয়ার্ধে মনোযোগ দেয় আক্রমণে। ৫২তম মিনিটে একটি সুযোগ হাতছাড়া করে দলটি। তবে আরব দেশটির এর চেয়েও ভালো সুযোগ আসে অতিরিক্ত সময়ে।
মোর্তেজা পুরালিগাঞ্জির ডাইভিং হেড লক্ষ্যে থাকে নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ক্যামেরন কার্টার-ভিকার্সের চ্যালেঞ্জে ডি-বক্সে মেহ দি তারেমি পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে ইরান। সাড়া দেননি রেফারি। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন ইরানের অনেক খেলোয়াড়।