গত ৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং সেনবাগ উপজেলা প্রশাসনে মতইন বৌদ্ধ পল্লীর অসহায় বৃদ্ধ নারী ,পুরুষ, যুবক-যুবতী উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় মানববন্ধন করেন,সেনবাগ উপজেলা চত্বরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে ভূমিদ স্যুদের ধিক্কার দেয়।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল মানবতা এই বৌদ্ধ পল্লীতে বসবাস করেন একজন ভারতীয় তালিকার বীরমুক্তিযোদ্ধা অজিত রঞ্জন বড়ুয়া স্বাধীনতা সংগ্রামে তাহার অবদান বিশ্ব স্বীকৃত।এলাকাবাসী মানববন্ধন করলে এসিল্যান্ড তানজিম আলম( তুলি) স্বশরীরে এসে বলেন প্রাচীন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর পথটি কখনও বন্ধ হবেনা তিনি আশ্বাস দিলেন এবং পথটি খুলে দেওয়া হয়।
গত ২২/০২/২০২৩ ইং বুধবার অজ্ঞাত কারণে,বৌদ্ধ পল্লীর কয়েকজনকে সেনবাগ এসি ল্যান্ড তানজিম আলম (তুলি) অফিসে ডেকে নিয়ে ৩টি শর্ত জুড়ে দেন ১.জায়গাটি কিনে নিতে হবে ২. জায়গার পরিব র্তে জায়গা দিতে হবে ৩,অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নিতে হবে (০৩) তিন দিনের মধ্যেই এসিল্যান্ডের এমন মন্তব্যে কিংক র্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় মতইন বৌদ্ধ গ্রাম বাসীরা।ভূমি দস্যুরা বৌদ্ধ পল্লী এবং বিহারে যাওয়ার পথটি পুনঃ বন্ধ করে দেয়।এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত রঞ্জন বড়ুয়ার মেয়ের জামাই রিপন চন্দ্র বড়ুয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি গত ২৬/০২/২০২৩ ইং একই ব্যক্তি লোকমা ন হোসেন জোরপূর্বক তাহার লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা দখল করে নেয়।
উল্লেখ্য, ১৯১০ সালে উক্ত বৌদ্ধ পল্লীতে মতইন গৌতম বৌদ্ধ বিহারটি নির্মিত হয়েছিল। ১৯৯২ সালে ভারতের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ইস্যুতে উক্ত বৌদ্ধ পল্লীর বড়ুয়া পাড়া এবং বৌদ্ধ বিহারটিতে লুটপাট সহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় উগ্রবাদীরা। নিরাপত্তা স্বার্থে জায়গা জমি বিক্রি করে অন্য গ্রামে চলে যায় বৌদ্ধপল্লীর কয়জন বাসিন্দা।১৯৯৩ সালে নিরাপত্তার খাতিরে তৎকালীন ১০ম সঙ্ঘরাজ জ্যো তিপাল মহাথেরোর তত্ত্বাবধানে গ্রামের অভ্যান্ত রে গ্রামবাসীর আর্থিক অনুদানে বৌদ্ধ বিহার টি পুনঃ নির্মিত হয়। তখন থেকে এখনও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন যাপন করে আসছে বৌদ্ধ পল্লীর অসহা য় মানুষগুলি।অন্যদিকে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী র র্যাব ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বৌদ্ধরা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করে আসছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কার্যকরী হস্তক্ষেপ আমরা বুদ্ধ পল্লীর বাসি ন্দারা একান্ত কামনা করি।