March 20, 2025, 4:20 am
শিরোনামঃ
সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সংবাদটি দ্রুত পৌঁছে যায় সুদূর হবিগঞ্জে ভিক্টিমের পরিবারের নিকট ময়মনসিংহ অবৈধ নকল খাবার তৈরির মোমিন ফুড প্রোডাক্ট কারখানায় সিলগালা সহ জরিমানা রংপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাবার সময় ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ময়মনসিংহে আটক আরসার ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা, ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ ময়মনসিংহে দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শওকত হাওলাদারের সন্ত্রাসী পুত্রের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের একশন শুরু সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম’র কাছের লোক পরিচয়ে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পিডি বারেকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেছেন শাহজাদপুরে মাদকবিরোধী অভিযান: তিনজন আটক, কারাদণ্ড ও জরিমানা
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধঅপরাধী সুলতান মাহমুদ ফকির র‍্যাব-১৪ কর্তৃক আটক

Reporter Name

প্রথম বাংলা – ময়মনসিংহ ৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে আকুয়া বাইপাস র‍্যাব-১৪ কার্য্যলয়ে অধিনায় ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো: মহিবুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান।

১৯৭১ সালে সুলতান মাহমুদ ফকির রাজাকার বাহি নীতে যোগদেয়,পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে কাজ করে। সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্হান নিয়ে ত্রিশালে রাজাকার বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দন্ডিত হওয়ার পর সে নিয়মিত অবস্হান পরিবর্তন করতো এবং কোন মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতো না। তার পরিচয় প্রকাশপায় এমন কোন অনুষ্ঠানে নিজেকে প্রকাশ করতো না।

ত্রিশালের কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী ৭১সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগীতা করার কারনে ১৫ আগষ্ট সকালে রাজাকার ক্যাম্পের টর্চার সেলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী রাজাকার সুলতান মাহমুদ ফকির ইউনুছ আলীকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে ১৯৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে ৯ জনকে আসামী করে ময়মনসিংহ বিচারিক আদালতে মামলা করে।

মামলাটি ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাই ব্যুনাল-১ এ মামলা হয়। আসামী ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা,গণহত্যা,অপহরণ,আটক,নির্যাতন ও লুটপাট সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় অভিযুক্ত তিনজন আসামী রায়ের পূর্বে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে। গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ সালে মো: সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ৬ জন কে মৃত্যুদন্ডের আদেশদেয় ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়াও সুলতান মাহমুদ ফকির ত্রিশালের কানিহা রি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে হত্যার দায়ে মৃত্যু দন্ড,বিয়ারতা গ্রামের নিয়ামত আলী, আজিজুর রহমান,আব্দুল মতিন কে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের দায়ে ৭ বছর কারাদন্ড,কালীবাজার এলাকায় সংখ্যালঘু পরিবা রের উপর ধর্ষণ ও অমানবিক নির্যাতন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহনেরদায়ে পৃথকভাবে আরো ১৪ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়।

আসামী সুলতান মাহমুদ ফকির কে গত ৫ ফেব্রুয়া রী ময়মনসিংহ নগরের ভাটিকাশর এলাকা থেকে রাত ৯ টার দিকে৷ র‍্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ত্রিশালের বিয়ারতা গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে যুদ্ধপরাধী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো; সুলতান মাহমুদ ফকিরকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST