December 11, 2023, 4:48 pm
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভা গোপালগঞ্জের বোড়াশীর মিটু মেম্বারের তান্ডবে গুরুতর আহত-১৬ সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল আনোয়ারে ইন্তেকাল আইজিপির শোকসভা জাজিরা নির্বাচন অফিস যেনো ঘুষ-বাণিজ্যের কলঘর বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি’র ২০২৩-২০২৫ নির্বাচন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বৈধ: হাইকোর্ট ময়মনসিংহে ওসি শাহ কামাল আকন্দ এর বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র‍্যাব দৌলতপুরে এক শতাংশ ভোটার সমর্থন দিতে পারেনি তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

রাজউকের ধনকুবের খ্যাত শত কোটি টাকার মালিক মোবারক হোসেন

Reporter Name

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)উন্নয় ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হো সেনের বিরুদ্ধে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও ঢাকায় একাধিকআলি শান বাড়ি ও প্লট, গ্রামের বাড়িতে রয়েছে কোটি কোটি টা কার অবৈধ সম্পদ বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মোবারক হোসেন মহাখালী জোন-৪ অথরাইজড থাকাকা লীন,মিরপুর-১ ও ১০,মার্কেট পরিচালনা কমিটি,বিভিন্ন ডেভলপার কোম্পানি ও বাড়ির মালিকদের থেকে উচ্ছেদ অভিযানের চিঠি দিয়ে ও উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে মার্কেট ও বাড়ি মালিকদের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়,তৎকালীন মোবারক হোসেন অথরাইজড দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তিনি নিয়ম-নীতি তোয়া ক্কার না করে অবৈধভাবে শত শত প্লান পাস করে দিয়ে। অবৈধভাবে উৎকোচের মাধ্যমে বিত্তবান হয়েছেন বলে অ ভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজউকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, উচ্ছেদ অভিযানের নামে নামমাত্র মার্কেট ও ভবন ভেঙ্গে চলে যেতেন। পরবর্তীতে তার ঘনিষ্ঠ পরিদর্শক ও আত্মীয়দের মাধ্যমে এবংতার দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে ভবন মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেতেন মোবারক হোসেন।

বর্তমান এই প্রকৌশলী রাজউক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) এর পরিচালক হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির সা থে জড়িয়ে পড়ছেন। এখনোও তিনি বিভিন্ন ভবন মালিক দের কাছ থেকে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রধান করেন। শুধু তাই নয়, এই কর্মকর্তার রয়েছে বিশাল ক্ষমতাসীল একটা সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। এই কর্মকর্তার দখলে রয়েছে, মহাখালী জো ন-৪ ও রাজউকের প্রধান কার্যালয় সহ সেবা প্রার্থীদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন পরিচালক মোবারক হোসেনের সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মে শত শত অভিযোগ রয়েছে।

আরো জানা যায়, ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম স্বেচ্ছারিতা ও অবৈ ধভাবে অর্জিত কালো টাকায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত পাঁচ বছর আগে ২০১৭-১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনকে ও তার স্ত্রীকে অনুসন্ধানের বিষয়ে নোটির জারী করেন।

দুদকের সূত্রে জানা যায়,এবার স্ত্রীকে বাদ দিয়ে পুনরায় গত ৩০/০৭/২০২৩ ইং তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মো মোবারক হোসেনেকে স্বেচ্ছারিতা ও অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের বিষয়ে নোটির জারী করেন।দুদকের প্রধান কার্যালয় উপস্থিত হওয়ার তারিখ ছিল ০৮/০৮/২০২৩ ইং তারিখে। দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

আর এসব অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে গত কয়েক মাসে,উত্তরা দিয়াবাড়ির বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম, পিতা-জামাল উদ্দিন,মাতা-সালমা,বাসা নং-১৫৬,দিয়াবাড়ি,তুরাগ ঢাকা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে আবেদন করেছেন। অভিযো গ সূত্রে জানা যায়,১। ফ্ল্যাট নং-এ–৪, বি-৪, প্লট নং- ৪৩, রোড নং- ৯, সেক্টর -১৩, উত্তরা, ঢাকা। উক্ত বাসাটি সাড়ে ৮ তলা, চারতলা দুটি ফ্লাট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
২। জি -ব্লকে, রোড নং- ৩/এ, সেক্টর -১৫, উত্তরা, ঢাকা। ৩ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
৩। ২। জি -ব্লকে, এভিনিউ রোডে নং-৯, সেক্টর -১৫, উত্তরা, ঢাকা। ৩ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।
৪। মৌজা দিয়াবাড়ি, হরিরামপুর, তুরাগ ঢাকা। ০৫৭৮ অযুতাংশ জমি রয়েছে। টিন সেটে বাড়িটির যার বাজার ৩ কোটি টাকা।

৫। আরেটি টিন সেট বাড়ি রয়েছে, মৌজা দিয়াবাড়ি, হরিরামপুর, তুরাগ ঢাকা। ০২০৬ অযুতাংশ জমি রয়েছে। টিন সেটে বাড়িটির যার বাজার ৩.৫ কোটি টাকা।৬। মৌজা হাটগ্রাম, দাগ নং- ৪৬০৪, ২৩ শতাংশ জমিতে, থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা। টিন সেট বাড়ি রয়েছে, যার বাজার কোটি টাকা।৭। খালি জমি পরিমান, মৌজা হাটগ্রাম, দাগ নং- ৬৫৪৭, জমি পরিমান ১০.৫ শতাংশ, থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা। যার বাজার কোটি টাকা।
৮। এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে দামি গাড়ি যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা, উক্ত গাড়িটির নাম্বার-DHAKA METRO CHA-16-0555

তার পরিবারের নামে বেনামে থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা সহ বিঘায় বিঘায় জমি রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাও য়া যাবে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল।নাম প্রকাশ না করার শর্তে, রাজউকের একজন কর্মকর্তা জানান, সহ পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, এবং চেয়ারম্যান, সচিব, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম- দুর্নীতি করে আসছেন।

বিশ্বস্তসুত্রে জানা যায় যে, নামে বেনামে ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। উক্ত এফডিআর এর পরিমাণ কোটি টাকার মত। মোঃ মোবারক হোসেনের এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, মোঃ মোবারক হোসেনের শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তার পরিবার ও আত্বীয় স্বজনের সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন।

রাজউকের মোঃ মোবারক হোসেনের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাজউকের সাধারণ কর্মচারীগণ। ইতোমধ্যে অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন জমা পড়েছে।
এবিষযে তার মন্তব্য জানতে বার বার মোবাইলে ফোন করে এবং খুদেবার্তা দিয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page