মো আব্দুল্লাহ আল আনন্দ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব পড়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।তারই প্রভাব পড়েছে রংপুরের কাউনিয়া টানা বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি খেতের।
চলতি রোপা আমন চাষের শুরু থেকে প্রকৃতির সাথে অবিরাম লড়াই চলছে কাউনিয়ার কৃষকদের।
আমনের চারা রোপনের পরে খরার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অনেক ক্ষেতে দেখা দেয় পোকার আক্রমণ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যাপক তৎপরতা আর কৃষকদের হার না মানা লড়াইয়ে জয় কৃষকের। রাজারহাটের দিগন্তজুরে খেলা করে সবুজের ঢেউ। কৃষাণ-কৃষাণীরা আশায় বুক বাঁধেন। স্বপ্ন দেখেন ফসল ঘরে তুলে নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠার। তবে তাদের আশার পাতে ছাঁই। তাদের স্বপ্নের আমন খেতের ধান গাছ এখন মাটির সাথে লেপ্টে আছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শত শত কৃষকের পাকা, আধাপাকা,কাঁচা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বৃৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ফুলকপি,বাঁধাকপি,বেগুন,লাউ ক্ষেত সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেত। কূশা ইউনিয়নের মিরেরবাড়ি গ্রামের কৃষক ইউনুস আলি বলেন,তার দুই বিঘা জমির ক্ষেতের সদ্য শীষ বের হওয়া স্বর্ণ জাতের ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তা ভাবে জমিরএতে জমির ধান পঁচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিন। এতে ফলন হানির পাশাপাশি গো-খাদ্যে সংকটের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। সবাই মিলিয়ে বিপদে কৃষকরা