স্টাফ রিপোর্টার – সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর অধিনে রাজধানীর তেজগাঁও এ অবস্থিত সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ( সড়ক ভবন) এ একটি সিন্ডিকেট বদলি বাণিজ্য করে কোটি,কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন।
একটি সুত্রে জানা যায় বিভিন্ন সড়ক জোনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,ডিভিশনে নির্বাহী প্রকৌশলী,উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং উপ সহকারী প্রকৌশলী ভালো কিংবা সুবিধাজনক পোস্টিং নিলে গুনতে হয় লাখ,লাখ টাকা। সড়ক ভবনের ঐ সিন্ডিকেট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নামে লাখ, লাখ টাকা ঘুষ আদায় করছেন।টাকা দিয়ে পোস্টিং নেওয়ার পর জড়িয়ে পরছে দুর্নীতিতে।সরকারি বরাদ্দ লুটপাট করে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি ও ফ্ল্যাট এবং সহায় সম্পদ।
দেখা গেছে বিভিন্ন জোন,সার্কেল,ডিভিশনে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী,সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ সহকারী প্রকৌশ লী বছরের পর বছর করর্মত থাকলেও রহস্য জনক কারনে বদলি নেই।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর পর বদলির নিয়ম থাকলেও অনেকের ৫ থেকে ৭ বছর হলেও বদলি নেই।
সবচেয়ে বেশি ঘুষ লাগে ঢাকা ও ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলার ডিভিশনে।ঢাকা সার্কেলে রিয়াজুল ইসলাম নামে এক উপসহকারী প্রকৌশলীর ৫ বছর হলেও বদলি নেই। সওজ ঢাকা ডিভিশনে মোঃ মনিরুল ইসলাম নামে উপসহকারী প্রকৌশলী ঘুরে ফিরে ঢাকার বিভিন্ন সার্কেল ও ডিভিশনে চাকুরী করেছেন।অনেক প্রকৌশলী ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন জোন, সার্কেল ও ডিভিশনে দীর্ঘ দিন ধরে করর্মরত থাকলেও ঢাকা কিংবা ঢাকার কাছে কোন জোন, ডিভিশন ও সার্কেলে বদলি হয়ে আসতে পারে না কারন তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে পারছে না।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী কামাল পাশা দীর্ঘ দিন ধরে ময়মনসিংহে চাকুরী করলেও বদলি নেই। লোক মুখে শোনা যায় কামাল পাশা কাছিঝুলি এলাকায় নির্মান করেছেন ৭ তলা আল-শামস বাড়ি।জানা যায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী দের বদলি নিয়ন্ত্রণ করে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি।অপর একটি সুত্রে জানা যায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিভিন্ন ডিভিশনে করর্মরত অর্ধশত নির্বাহী প্রকৌশলী,উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ সহকারী প্রকৌশলী অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে রাজধানীর মিরপুর,উওরা,বনানী,মোহাম্মদপুর,এলাকায় নির্মাণ করে ছেন আলিশান বাড়ি ও ফ্ল্যাট,নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সহায় সম্পদ,বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী কে দুদকের মুখোমুখি হতে হয়েছে।