সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য।কবি : সিনিয়র রিপোর্টার, জাতীয় দৈনিক মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকা
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি চিত্র তুলে ধরা হল।প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লা আল কাফির অনৈতিক আচরণকে নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক!২৫-০৫-২৩ইং তারিখের ঘটনায় মর্মাহত সাংবাদিক।
সাংবাদিক দেখ প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষ থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলে হাত দিয়ে ইশারায় জানায়,
বসেন আসতেছি।
তখন দুপুর ১-৪৩ মিনিট।
দীর্ঘক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর ফোন দেয়া হলে প্রধান শিক্ষক ফোন রিসির্ভ করেন নাই।
পরক্ষণই একজন শিক্ষিকা এসে অফিসে বসেন।
শিক্ষকাকে দেখে সাংবাদিক অফিস কক্ষে
গিয়ে বসেন।
জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন,
স্যারতো কিছুক্ষণ আগে ছিল এখন যে কোথায় গেল জানিনা।
সাংবাদিক বললেন,
আমাকে বলেছেন তিনি এখুনি আসবেন।
৩৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে সাংবাদিক ফোন করেন।
কিন্তু ফোন রিসির্ভ করা হয়নি।
প্রধান শিক্ষকের ফাকা চেয়ারের উপরে ফ্যান ঘুরছে। শিক্ষিকাকে ফ্যান বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে তিনি কোন উত্তর দেননি।
এভাবে দীর্ঘসময় প্রধান শিক্ষকের চেয়ারের উপরের ফ্যানটি ঘুরতেই ছিল।
৩-৩১ মিনিটে পুনরায় ফোন দেয়া হয়েছে কিন্তু সেবারও ফোন রিসির্ভ করা হয়নি
পর পর ফোন দেয়া হচ্ছিল কখনও ফোনটি রিসির্ভ করা হয়নি।
বিকেল ৩-৪৪ মিনিট পার হতে চলেছে তবুও ফ্যান ঘুরছে দেখেও কেউ দেখেনা শুনেও কেউ শুনেনা।
৩-৪৪ মিনিট পর সাংবাদিক আবারো ফোন দেন,
প্রধান শিক্ষকের নম্বরে-
01716550682 আর সে পর্যন্ত ফোন রিসির্ভ করা হয়নি।
গতকাল আকাশ আদ্রতার কারণে শীত শীত অনুভব করে প্রধান শিক্ষক জ্যাকেট পড়ে এসেছেন স্কুলে। তার জ্যাকেটটি চেয়ারের মধ্যে ছড়িয়ে রাখা হয়েছে তার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র রাখা হাতের ব্যাগ টেবিলে পড়ে আছে।
দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষক বাহিরে আড্ডা দেন তাহা কাহারো কাম্য নহে।
একজন শিক্ষার্থী ছুটি নিতে পারেন তার বিশেষ প্রয়োজনে।
যা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা কালীন আর কোন শিক্ষক সে দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা।
তিনি বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কাউকে বলেও যাননি।
তিনি সেদিন তার বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনে ছিলেন কোথাও কোন জরুরি কাজে বাহিরে যাননি।
তার জলজ প্রমাণ হাতের ব্যাগ এবং জ্যাকেট চেয়ারে ঝুলানো রয়েছে ফ্যান চলছে দীর্ঘক্ষণ।
সাংবাদিকের ফোন রিসির্ভ না করা, সবে মিলে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা সাংবাদিকের বোধগম্যে আসেনা।
প্রধান শিক্ষকের এ হেন আচরণ কে ধিক্কার জানাই।
বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে ম্যাসেজ করে জানালে তার কোন প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।
এই হল ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব আর প্রধান শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব।