প্রথম বাংলা-রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে ৩১ লক্ষা ধিক টাকা মূল্যের ১০৫ কেজি গাঁজা ও গাঁজা পরিবহণে ব্যবহৃ ত প্রাইভেটকারসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি )গ্রেফ তারকৃতরা হলো- ১। মোসাঃ পারভিন বেগম (৫০) ২। মোসাঃ জোসনা বেগম (৫০) ও ৩। মো: আতিকুর রহমান রবিন (৩৩)।বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) সকাল আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকায় যাতাবাড়ী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম।
ডিবি-লালবাগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫ খ্রি.) রাজধানীতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ডিবির টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক কারবারি একটি প্রাইভেটকারে গাঁজা বহন করে কাচঁপুর ব্রিজ হতে যাত্রাবাড়ী হয়ে খুলনার দিকে যাবে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর অভিমুখে চেকপোস্টপরিচাল না করে আগত প্রাইভেটকারগুলোকে তল্লাশী করতে থাকে ডিবির একটি টিম। তল্লাশীর এক পর্যায়ে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী চেকপোস্ট দ্রুত বেগে অতিক্রম করার চেস্টা করলে ডিবি পুলিশের সদস্যরা কৌশলে প্রাইভেটকারটি থামালে চালকের পাশে বসে থাকা ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রাইভেটকারের চালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে প্রাইভেটকারের পিছনের ডালা হতে ১০৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এ সময় মাদক পরিবহ নে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এ ঘটনায় গ্রেফতার কৃতরাসহ পলাতক ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়,গ্রেফতার কৃতরা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজাসহ বিভিন্ন অবৈধ মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশে নিজে দের হেফাজতে রেখেছিলো ও বহন করছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।