ইকটামুল হল, কক্সবাজার :
বিলছড়িতে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে,
আড়াই কোটি টাকায় ব্রীজ নির্মান করে সংযোগ সড়ক না করেই পালিয়েছিলেন ঠিকাদার। ফলে ১৮ বছরেও কোন কাজে আসেনি কক্সবাজারের চকরিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া ও ফাদুখোলা সংযোগ ব্রীজ। অথচ চকরিয়ার বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন ও বান্দরবান লামার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বমু’র খালের উপর নির্মিত পুকুরিয়া খোলা ও ফাদুখোলা সংযোগ ব্রীজ। দীর্ঘ ১৮ বছর আগে ব্রীজটি নির্মান হলেও এপ্রোচ সড়ক না করেই লাপাত্তা হয়েছিল ঠিকাদার। যার অভাবে ব্রীজ থাকলেও যানবাহন চলাচল হয়নি দীর্ঘ ১৮ বছরে। এই ১৮ বছরে চারজন ইউপি চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু কেউ করেননি পুকরিয়াখোলা -ফাদুখোলা সংযোগ ব্রীজের এপ্রোচ সড়ক।
সম্প্রতি দীর্ঘ ১৮ বছর পর এলজিইডি’র বরাদ্ধের ভিত্তিতে এপ্রোচ রোড় নির্মানের কাজ পায় পলায়নকারী ঠিকাদার ফরিদুল আলম। অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন পর সড়কটি আলোর মুখ দেখলেও পুরানা খাসলত রয়ে গেছে ঠিকাদারের। পুরনো কায়দায় নিম্নমানের ইটের কুয়ার মেকাডম ব্যবহার করেছে ব্রীজের পশ্চিমের সংযোগ সড়কে। রোলারের চাকায় পিষে গুড়া হয়ে যাচ্ছে ব্যবহৃত মেকাড়মের ইটের কংকর। যা ঠিকাদারের নিজস্ব ইটভাটার ব্যবহার অযোগ্য পরিত্যক্ত ইটের কংকর।
এ ছাড়াও পুর্বপার্শ্বের সংযোগ সড়ককে করা হচ্ছে ৩’-৪’ নী চু যার কারনে বর্ষাকালে তলিয়ে যাবে সংযোগ সড়ক। সং যোগ সড়কটি উচু করে নির্মান গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘ ১৮ বছর পর সংযোগ সড়ক টি নির্মানের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, করবেই যখন কা জে আসার মতই করতে হবে। স্থানীয় জিয়া উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, ঠিকাদার ফরিদ একজন ফাঁকিবাজ লোক। ইতিপূর্বেও নানা অনিয়ম করে পালিয়েছিলেন।
তাই এলাকার লোকজনের দাবী প্রশাসনের সুষ্ঠু নজরদারী তে এলাকার উৎপাদিত পন্য পরিবহনে যাতে গাড়ী যাতা য়াতে সুবিধা হয় তার দিকে নজর রেখে সংযোগ সড়কটি তৈরী করা হউক।
এলজিইডি’র চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি আসার পর থেকে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছি ঠিকাদার ফরিদুল আলমের বদনাম। দুর্বল কাজ করার সুযোগ নাই। সঠিক কাজ আদায় করে নেয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন এই প্রকৌশলী।