বার্তা পরিবেশক
অবৈধ সম্পর্কের জন্য রাজি না হওয়ায় রামু উপ জেলার গর্জনিয়ার ইয়াসমিন আক্তার কাজল নামে এক নারীর ভিডিও ভাইরাল করার হুমকী ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। একই এলাকার ডাঃ আবছারের পুত্র ইসকান্দার মিজানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তিনি। তাঁকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বুধবার কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইসকান্দার মিজানে র সাথে তার দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্ক পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। ২০১২ সালে চৌফলদন্ডীর আবদুর রহমানের সাথে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ফুটফু টে সন্তানও আছে। একই সাথে মিজানও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরও মিজান নানাভাবে ইয়াসমিনকে উত্যক্ত করতে থাকে। তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ করায় মিজান। এরপর থেকে তাদের সংসারে শুরু হয় অশান্তি। মিজানের কথা তুলে ইয়াসমিনকে নানাভাবে নিগৃহীত করে স্বামী।
একপর্যায়ে স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইয়াসমিন সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে। পরে জীবিকার টানে তিনি গৃহকর্মী ভিসা নিয়ে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। কিন্তু সেখা নেও মিজান তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। ওইসময় মিজান ইয়াসমিনকে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোও কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাঁর কুপ্রস্তাবে সায় না দেওয়ায় ভিডিও ভাইরাল,অপপ্রচারসহ নানা হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে। পরে মিজানের এমন অপতৎপরতা সহ্য করতে না পেরে দেশে চলে আসে ইয়াসমিন।
ইয়াসমিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পরও মিজান ইয়াসমিনে র বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। যার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকার আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। যা সত্যিই দুঃখজনক বটে।
সংবাদে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা আমার বক্তব্যও নেওয়া হয়নি। অনুমতিবিহীন ব্যবহার করা হয়েছে আমার ছবি। এতে এডিট করে আমার ছবি বোন জামাতা মালেকের ছবির সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী। ওই সংবাদের নারী হিসেবে আমার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি মিজানের এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।