নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে ২০১৮ সালের অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে বড় ধরণের চাপে পড়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।একের পর এক গুজব,বিতর্ক, সমালো চনা আর নানা দাবীর মুখে গলদঘর্ম হতে হয় সরকারকে। দেশী -বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র চলতে থাকে জোরেশোরে। জামাতে ইসলামী ও সমমনা উগ্রপন্থী ইসলামী দল, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত জ’ঙ্গী সংগঠন আবারও সক্রিয় হয়। পাহাড়ের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট, আল-কায়েদা উপমহাদেশ শাখা, পুরাতন ও নতুন জেএমবি ও রোহিঙ্গা জিহাদিদের সম্পৃক্ত করে তৈরি হয় নতুন সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বরকিয়া।
আর স্ট্র্যাটেজি তৈরি ও যোগাযোগ কাজে সমন্বয়কেরভূমিকায় ছিল হিজবুত তাহরীর। উল্লেখ্য, ২০১৩-১৯ সাল পর্যন্ত আল-কায়েদা উপমহাদেশ (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলাম) এবং পুরাতন ও নতুন জেএমবি প্রায় ৭০টি অপারেশন চালিয়ে শতাধিক মানুষ হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তবে ২০১৬-তে হলি আর্টিজানে ভয়াবহ হামলার পর সরকার জ’ঙ্গীবিরোধী অপারেশন শুরু করলে এদের কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে যায়।
এরই মধ্যে ২০২০ সালের শেষে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডো নাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলে যুদ্ধবাজ ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনট নের পরামর্শে পূর্বসূরি বারাক ওবামা ও জর্জ বুশের মতোই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বে জড়াতে থাকে। চীন, রাশিয়া ও ভারতকে দুর্বল করতে নানা পদক্ষেপ নেয়। ২০২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর র্যাব ও এই বিশেষায়িত বাহিনীর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন৷ এতে সহজেই অনুমান করা যায় যে বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার কিছু ইস্যু নিয়ে দরকষাকষি চলছিলো। সেই সম্পর্ক আরও শীতল হয় যখন ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক জটিল মেরুকরণের সূচনা করে।
যদিও এই যুদ্ধের সূত্রপাত আরও আট বছর আগে, তথাপি বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এবার তা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরিণত হয়। বিশ্ব তখন দুই ভাগ হয়ে আমেরিকা ও রাশিয়াকে সমর্থন দেয়। আবার অনেক দেশই এই দুই পরাশক্তির সাথেই সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আমেরিকা চেয়েছিল শর্তহীন সমর্থন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান৷ যেসব দেশ রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িকসহ স্বাভাবিক সম্পর্ক রেখেছিল,তাদেরকে বাইডেন প্রশাসন বিপজ্জনক শত্রু হিসেবে ধরে নিয়েছিল। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের ইমরান খানের সরকার৷
পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সরকার পতন হয় এবং ভারতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সমালোচনা ধীরে ধীরে বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। ইমরান খানসহ অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক মনে করেন তাকে উৎখাতের জন্য বাইডেন প্রশাসন কলকাঠি নেড়েছে।
একই সময়ে শেখ হাসিনা কয়েকবার বলেছেন যে তাকেসরাতে আমেরিকা নানাভাবে চেষ্টা করছে। বাইডেন প্রশাসন বার্মাঅ্যাক্ট পাশ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আরাকান আর্মি, কুকি-চিন ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনে মদদ দিচ্ছে এবং বিনা টেন্ডারে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে গ্যাস ব্লকের বরাদ্দ চেয়েছে।
এছাড়া বাইডেন চেয়েছিল বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ও কোয়াডে যুক্ত হোক এবং সামরিক চুক্তি (জিসুমিয়া) করুক। এসব দাবীর কথা ওয়াশিংটন বা ঢাকার কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে না জানালেও, ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তার সরকারের পাঁচটি লক্ষ্যের কথা প্রকাশ করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল সামরিক চুক্তি ও ইন্দো-প্যাসিফিকে যোগদান এবং রাখাইন প্রদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠানো।
আমেরিকার এসব প্রস্তাবে রাজী হয়ে চীন ও ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে চাননি শেখ হাসিনা। ফলে দরকষাকষির এক পর্যায়ে নির্বাচনে কারচুপি ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ইস্যুতে বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি ঘোষণা করে বাইডেন প্রশাসন।
এই ষড়যন্ত্রে আমেরিকা নগ্নভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলনরত বিরোধী দলের জোট, যুদ্ধাপরাধী দল জামাতসহ উগ্রবাদী ইসলামী সংগঠন, দেশী-বিদেশী মিডিয়া ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ব্যবহার করে। এই গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের জন্য অনেক বছর ধরে চেষ্টা করছিল। ফলে সবার লক্ষ্য এক জায়গায় মিলে যায়।
২০২১ সালে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার পর সরকারবি রোধী বিক্ষোভ শুরু হলে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্বপ্রনোদিতভা বে সমন্বয়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছিল। একই সময় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কয়েকজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে আমেরিকা ও কানাডা থেকে ফেরত আনতে চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সাল থেকে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী থাকায় বিএনপির ক্ষোভ বাড়ছিল। আবার জামাতের নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল হওয়ায় কৌশলগতভাবে এবি পার্টি গঠন করে সরকারের বিরুদ্ধে সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম শুরু করে।
আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার সকল ষড়যন্ত্র যখন চলছিল, তখন বৃহৎ দল হিসেবে অনেক নেতাকর্মী দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ক্ষমতা ও টাকার লোভে অনেকেই নীতিহীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় এবং দলের মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও দল থেকে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয়ায় জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা আশংকাজনকভাবে কমে যায়।
ফলে কোটাবৈষম্য দূর করার নামে মূলতঃ জামাত, এবি পার্টি, হিজবুত তাহরীর ও গণ অধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠনগুলো জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করলে মিডিয়া ও সুশীল সমাজ তাদেরকে কোমলমতি সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করে বিপুল সমর্থন দেয় এবং সরকারের ভুল পদক্ষেপ ও সীমাবদ্ধতার কড়া সমালোচনা করে।
আন্দোলনের শুরু থেকে বিরোধী দলগুলো প্রকাশ্যে সমর্থন দিলেও নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে বলে ১৫ই জুলাই আমেরি কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুইজন নিহতের ভুয়া খবর দেওয়ার পর। পরদিন সারাদেশে সংঘর্ষ শুরু হলে ছয়জন নিহত হওয়ার পর বিপাকে পড়ে সরকার। লাশ পড়ায় ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ইস্যু পেয়ে যায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজ ব ছড়িয়ে জনগণের সহানুভূতি অর্জন করে। মূলতঃ মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও অযোগ্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের সরকারবিরোধী মনোভাব জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখে।
একই সময় সাংবাদিকতার সাধারণ সূত্র অনুযায়ী’ আন্দোলনকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় ও লক্ষ্য অনুসন্ধানের কোন চেষ্টাই করেনি কোন মিডিয়া যদিও নেতারা ঢাকাসহ সারা দেশকে অচল করার ও দাবী আদায়ে রক্ত দিতে প্রস্তুতির কথা প্রকাশ্যে জোর দিয়ে বলছিল।
অবশেষে জামাত ও সশস্ত্র জঙ্গীদের হামলার মুখে ৫ই আগস্টে র পট পরিবর্তনের পর অনেক ছাত্রনেতা ও সংগঠক বাহাদুরি করতে গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেফেলে অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের এক সভায় বেফাঁস মন্তব্য করে বলেন যে, এই আন্দোলনটি খুব সুচারুভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এছাড়া একজন কেন্দ্রীয় ছাত্র সমন্বয়ক এক টকশোতে বলে যে তারা মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন না দিলে ও পুলিশ সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে অরাজকতা না করলে সরকারকে উৎখাত করা সহজ হতো না। এর বাইরে বিএনপির ছাত্রনেতারা বলে যে এই আন্দোলনে তাদের চার শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয় এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে ছাত্ররা মাঠে না থাকায় তারা নকল আইডি কার্ড বানিয়ে রাজপথ দখলে রাখে।
এছাড়া পরবর্তীতে জানা যায় যে, কেউ কেউ অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল এবং বিভিন্ন ছাদ থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে আন্দোলনকারী ও পুলিশদের হত্যা করেছিল।
এছাড়া থানা ও জেলখানায় হামলা শত শত অফিসার হত্যা ও হাজার হাজার অস্ত্র লুট করেছিল আন্দোলনকারীরা। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়মুক্তির আদেশ দিতে হয়, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এই দায়মুক্তির সমালোচনা করেছে এবং জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যথাযথ তথ্য না পাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে।
এছাড়া ৫ই আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাইকারি হত্যা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও জাদুঘর ভাংচুর, সংখ্যালঘু নির্যাতন,লুটপাট-অগ্নিসংযোগ,জোরপূর্বক চাকরিচ্যুতি, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শুরু করে প্রশাসনের নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, বিচা রাঙ্গনে অরাজকতা ও মিডিয়ার উপর খড়গহস্ত হওয়ায় বর্তমান সরকারের জনসমর্থন পাঁচ মাসের মধ্যেই অনেকাংশে কমে গেছে।
ফলে ছাত্র সমন্বয়করা এখন জামাত,এবি পার্টি ও জঙ্গী সংগঠন গুলোর সাহায্য নিয়ে টিকে থাকতে আগের মতো নানা ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে, আবার কোথাওবা গায়ের জোরে জিততে চাইছে সর্বশেষ,তারা ৩১শে ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকা শ করবে বলে জানিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সংবিধান বাতিল ও বিপ্লবী সরকার গঠনের চেষ্টা করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।তবে ইতিমধ্যে ইউনূস সরকার ছাত্র সমন্বয়কদের এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে ও বিএনপি সরাসরি এই ঘোষণার বিরোধিতা করছে।
এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন ইউনূস বলেছিলেন যে ছাত্ররা রিসেট বাটন চেপে পুরনো সবকিছু বাতিল করে দিয়েছে। মানে নতুন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অবস্থান নতুন করে বিবেচনা করবে জামাত-পরিচালিত সরকার।৭ই মার্চ, ১৫ই আগস্ট ও ৪ঠা নভেম্বরসংবি ধান দিবস বাতিলের ঘোষণা, জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে না মানার সিদ্ধান্ত সেই ইঙ্গিতই বহন করে। এছাড়া আদালতের মাধ্যমে “জয় বাংলা”কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে বাতিল করা এবং কেউ এই শ্লোগান দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা বা কেউ চাইলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার স্বাধীনতাও দিচ্ছে ইউনূস সরকার।
অন্যদিকে জামাত-শিবিরের উপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল, খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল, ইউনূসের ট্যাক্স ফাঁকি ও অন্যান্য মামলা খারিজ, ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হত্যা মামলায় সব আসামীর খালাস, আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাসহ শতাধিক জঙ্গীকে জামিন দেয়া এবং দুই ডজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে মুক্ত করার মাধ্যমে সরকা র কারা চালাচ্ছে সেটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ জানাগেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যাকে গত সপ্তাহে নিয়োগ দে য়া হলো,সেই নাসিমুল গনি ছিল ২০০০ সালে হিজবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারিগর।ফলে এটিও সহজে অনুমেয়, কীভা বে জঙ্গীরা কারামুক্ত হচ্ছে।প্রকাশ্যে সশস্ত্র জিহাদের ডাকদিচ্ছে ,কেন হঠাৎ এদেশে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী ওজঙ্গী দের কর্মকান্ড আন্তঃসংযোগ বেড়ে গেছে এবং কেন ছাত্র সমন্ব য়করা মৌলবাদী ধারার সংবিধান চাচ্ছে।