মোঃশাহজাহান খন্দকার স্টাফ রিপোর্টার
কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে মাদক সেব নের অভিযোগ উঠেছে। তিনি দল বেঁধে নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যের নাম খোরশেদ আলম,তিনি বেলগাছা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য এবং একই ওয়া র্ডের বিশ্বেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।খোরশেদ বেলগাছা ইউনিয় ন বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মাদক সেবনের ভিডিও দেখে তাকে চিহ্নিত করেছেন বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য।
তার মাদক সেবনের বিষয়টি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে,একটি বাঁশঝাড়ের নিচে বসে ইউপি সদস্য খোরশে দ আলম তিন জন সঙ্গী নিয়ে মাদক সেবন করছেন। তার অপর সঙ্গীরা হলেন– একই গ্রামের বিদ্যুৎ, রাসেল মিয়া ও জিয়া। এর মধ্যে জিয়ার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ওই ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে ভিডিওতে উপস্থিত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভিডিওটি দুই সপ্তাহ আগে ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনঞ্জয় গ্রামে র সুভাষ মাস্টারের বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড় থেকে ধারণ করা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। খোরশেদ তার সহ যোগীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।তবে ভিডিওতে নিজের উপস্থিতির কথা স্বীকার করলেও মাদক সেবনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ইউপি সদস্য। মাদকসে বীদের আড্ডায় গিয়ে তিনি ‘ভুল’ করেছেন এবং এজন্য তিনি ‘অনুতপ্ত’ বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, ‘খোরশেদ মেম্বার নিয়মিত মাদক সেবন করেন। ভিডিওতে যে ব্যক্তিদের দেখা যাচ্ছে তারা সবাই তার প্রতিদিনের সঙ্গী।’শুধু ইউপি সদস্য নন, খোরশেদ এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবেও পরিচিত। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পা দক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ছেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বেল গাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান।
মাহাবুব বলেন, ‘খোরশেদ মেম্বারের মাদক সেবনের বিষয়টি আমার কানে এসেছে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ভুল স্বীকার করেছে। এ নিয়ে তার পারিবারিক ঝামেলাও শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নে বো।অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে প্রস্তাবিত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে।’ভিডিওতে দৃশ্যমান অপর ব্যক্তিদের নাম জানালে সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি তাদের চিনি শুনেছি তারাও নিয়মিত নেশা করে।’
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অনুতপ্ত আমি অনেক আগে মাদক ছেড়ে দিয়েছি। ভিডিওটি ঈদের পরের। গত ঈদের পর হঠাৎ ওই স্থানে আমি গিয়েছিলাম। তবে আমি মাদক সেবন করিনি। তারপরও ওই জায়গায় যাওয়া আমার ঠিক হয়নি। শয়তানের ধোঁকায় আমি আড্ডার শেষ সময় ওখা নে গিয়েছিলাম। বিষয়টি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমাকে শোধরানোর সুযোগ দেবেন।