রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ জাজিরা (শরীয়তপুর)
জাজিরায় হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে স্কুল সহ অনেক ঘরবাড়ি। এছাড়াও ঝড়ে গাছপালা, আম, কাঁঠাল, উঠতি ফসল ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) দুপুর ১১ টার পরে ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে এক পর্যায় বাতাস সহ ঝড় হয়।সেই ঝড়ে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন এর আব্দুর কুদ্দুস বেপারি উচ্চ বিদ্যালয় এর টিনের ঘরের চাল উড়ে গিয়ে দূরে পরে যায় এবং আরেক টা ঘর দুমরে মুচরে যায়। এবং বিলাসপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে বাড়িঘর ভেঙে যায় ও গাছপালা উপরে পড়ে। ইতিম খানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কারো কারো ঘরের চাল উড়ে যায় এবং দুমড়ে মুচরে গেছে বাড়ির সীমানার টিনের বেড়া। এ ছাড়াও জাজিরার পাথালিয়া কান্দির কিছু বাড়ির উপর গাছ পরে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত বিলাসপুর এলাকায় আসাদ মুন্সি জানান, ঝড়ে আমাদের স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সেই সময় স্কুলের ৪জন স্টুডেন্ট অজ্ঞান হয়ে পরেছিলো। এছাড়া তিনটি ঘর ভেঙে গেছে, ইটের দেয়াল পড়ে গেছে, স্কুলের অনেক গাছ গাছলা ভেঙ্গে যাওয়াসহ আমাদের গ্রামের অনেক বাড়িঘর গাছপালা পরে দুমড়ে মুচড়ে গেছে, কারো কারো ঘরের টিন উড়ে গেছে। আমরা ঝড়ের পরে স্কুলের মাঠে পড়ে থাকা গাছপালা ডাল কেটে সরিয়ে আনি। এবং গ্রামে যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা এখন প্রায় অসহায় হয়ে পরেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে,বিলাসপুর কুদ্দুস বেপারি উচ্চ বিদ্যালয় আধা পাকা টিনসেট ঘরের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে এবং স্কুলের মোট ৩ টি ঘর বেড়া টেবিল চেয়ার সহ ইটের দেয়াল ও গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহজাহান এর সাথে কথা বললে তিনি আমাদেরকে জানান আমাদের স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুইটি ঘর উড়ে নিয়ে গেছে, একটি দুমড়ে মুচরে গেছে, স্কুলের টিউবয়েল ভেঙ্গে গেছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি তারা যদি আমাদেরকে নগদ অর্থ প্রদান করেন তাহলে আমরা বাচ্চাদের জন্য নতুন ঘরের ব্যবস্থা করতে পারব। আমাদের বাচ্চাদের কিছুদিনের পরেই পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে সুতরাং যদি ঘর না হয় আমরা কিভাবে পরীক্ষা নিব।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারির সাথে মুঠুফোনে কথা হলে তিনি জানান যে, স্কুলের ৩টি ঘর এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকা। আমরা উপজেলাপ্রসাশন এর কাছে জানিয়েছি তারা আমাদের কে সাহায্য সহযোগিতা করলে খুব শীঘ্রই আমরা ছাত্রদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে পারব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নজরুল ইসলাম জানান, আমরা বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠিয়েছি, এখন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে যে তারা অনুদান দিবে কিনা, যদি দেয় তাহলে আমরা এটা তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেব।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাইলাতুল হোসেন জানান, জাজিরার যত গুলা প্রতিষ্ঠান এবং ঘর বাড়ি ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে আমরা সেটার তালিকা করেছি। সেই অনুযায়ী সহায়তা করা হবে।