প্রথম বাংলা – রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি।বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি.) বিকে লে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাস্পাতালে জরুরি বিভাগের অবজারভেশন ওর্য়াডে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন তিনি।
আহত পুলিশ সদস্যদের দেখা শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,গতকাল (বুধবার) নয়া পল্টনে বিএনপিকর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিল। তারা ঢিল ও ইটপাটকেল ছুড়েছিল। সেটি মোকাবিলা করতে গিয়ে ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলি। কিন্তু ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা করলে তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপচাপ থাকতে পারে না। শান্তি পূর্ণভাবে কোনো সমাবেশ করলে তাতে কোনো বাধা নেই।তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে। আমরা বাধা দেইনি। এখন তারা ঢাকায় যে স্থানে সমাবেশ করতে চাইছে, সেখানে বড় জমায়েত করার সুযোগ নেই। তাই বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ২৫ লাখ লোক জমায়েতের বার্তা দিয়েছিল বিএনপি। তারা প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টন চেয়েছিল। মানিক মিয়া এভিনিউ কখনো কাউকে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেয়া হয় না। সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশের সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে তাদের সম্মেলন এগিয়ে আনতে বলেন। সে অনুযায়ী ছাত্রলীগ সম্মেলন এগিয়েও আনে। আমরা মিরপুরের কালশীতে বিকল্প স্থান হিসেবে বলেছি। আমরা কোনোক্রমেই রাস্তাঘাটে অরাজক পরিবেশ হোক, তা চাই না।
এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খান; ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম(বার), পিপিএম; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র, DMP news