প্রথম বাংলা – বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করা হয়েছে। বুধবার ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলি শ। ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশের করা একটি মামলায় এর আগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ছিল। ওই পরোয়ানা হাতে নিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিল।
বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে গেলে পুলিশ তাকে হাতেনাতে পেয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বা স ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল আটক হন।বিকাল ৩টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নয়াপল্টনে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত হয়ে মকবুল হোসেন (৪০) নামে বিএনপির এক কর্মীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।এদিকে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিএ নপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর কার্যালয়ের ভেতরে দলের জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন নেতা অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নিলে তাদের রাস্তা থেকে সরতে বলা হয়। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।এ সময় পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে নয়াপল্টন এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। বিকাল ৪টা ৮ মিনিটে কাকরাইল নাইটি ঙ্গেল মোড়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।এর আগে বেলা ১২টা থেকে বিএন পির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শত-শত পুলিশ সদস্যকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এরপরেই কার্যা লয়ের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান এবং জলকা মান আনা হয়।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থান নিয়ে এক সপ্তাহ ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ চলছে। বিএনপি বলছে, তারা এই সমাবেশ নয়াপ ল্টনেই করবে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ বিএন পিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুম তি দিয়েছে।তবে বিএনপি সেহারাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে তারা রাজধানীর আরামবাগে এই সমাবেশ করতে চায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সেটিও না করে দেওয়া হয়েছে।