প্রথম বাংলা – প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মাম লা চালু করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণ মাধ্যম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল উপ জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দু ল্লাহ আল মাহমুদ।
এর আগে গতকাল সোমবার সামাজিক যোগা যোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রিকার এই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে অফিসে বসে ঘুষ নিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ময়মন সিংহের ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা।
ভিডিওতে দেখা যায় নাছরীন সুলতানা তাঁর অফিসে নামজারি করতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে হাসিমুখে টাকা হাতে নিতে নিতে তাঁকে বলতে শোনা যায় আপনি তো আমার চাকরি খাবেন। সামনাসামনি যা করছেন।
এক হাতে টাকা নিয়ে নাছরীন সুলতানা হাসিমুখে বলতে থাকেন—‘আমার চাকরিটা খাওয়ার জন্য আপনি লাগছেন! এই শোনেন, যেটা দেখাইছি ওইটা দিতে হবে, তাহলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা টাকা দিলে এটা অয়না। তারপরও দিয়ে গেলেন! ওই ভাই সামনে ছিল, (পাশে বসে কথা বলতে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই আমি রাখলাম, নাইলে রাখতাম না।
দুই দিন পরে বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দি য়ে ওই ব্যক্তি দুটি নামজারির জন্য ১৭ হাজার টাকা দেবেন জানালে আবার ওই কর্মকর্তা বলে ন, ‘না এইত অইতনা, এইতা বাংলা আলাপ কইরেন না।’
নামজারি করতে আসা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে আরও দেখা যায়, ওই ভূমি কর্মকর্তা ইশারায় টাকার পরিমাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন। নামজারি করতে যে টাকা দাবি করছেন, সেটি ক্যালকুলেটরে লিখে ওই ব্যক্তিকে দেখান এবং বলেন—এটা লাগবে।
সম্পূর্ণ কথোপকথন থেকে জানা যায়, দুটি নামজারির জন্য ওই ব্যক্তি প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও ভূমি কর্মকর্তা দাবি করছেন আরও বেশি। কথোপকথনের সময় পাশে বসে থাকা ব্যক্তিটিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নামজারি করার জন্য উৎসাহিত করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ পোস্ট করেন।