November 4, 2024, 4:35 am
শিরোনামঃ
২৫ টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার বংশাল থানা পুলিশের; নিষ্ক্রিয় করলো সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আপত্তিকর বক্তব্য, এবার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে শোকজ চাটখিল সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে অস্ত্র উদ্ধারের ভুল তথ্য দিয়ে সুরাইয়া বেগমের পরিবারকে হয়রানি ঘটনাস্থলে কিছুই পাইনি মধ্যরাতে ফরেস্ট অফিসে সাংবাদিক পরিচয়ে ৮/১০ জনের হানা থানায় জিডি মঠবাড়িয়ায় আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে সর্বস্বান্ত হলেন হানিফ মিয়া শাহজাদপুরে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রৌফাবাদ ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র বিশাল মিছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেড ফোর্স এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মঠবাড়িয়ায় তিন সমন্বয়ক ছাত্রের বিরুদ্ধে নগদ টাকা সহ মোবাইল চুরির অভিযোগ শাহজাদপুরে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান

Reporter Name

প্রথম বাংলা – দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। মঙ্গল বাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৭ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। অবসরে যাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও এসময় বঙ্গভবনে ছিলেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসে বে ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদে শক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে গেছেন ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায়, গত ৩১ আগস্ট ছিল তার বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি।তার ৬৭ বছর পূর্ণ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর,তাই সংবিধান অনুসারে এদিন তিনি অবসরে যান।

নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি তারিখে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের এক স ম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সং গঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনী তি বিষয়ে এম.এস.এস. ডিগ্রি লাভ করেন।একই বিশ্ববিদ্যা লয় হতে তিনি এলএল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন,১ ৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভু ক্ত হন।১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকং-এ অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ল’ইয়ারস কন ফারেন্স’-এ অংশগ্রহণ করেন। গণচীনের প্রকিউরেটর জেনারেলের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলের সফরসঙ্গী হিসেবে যান।

১৯৯৭ সালে চীনের বেইজিংসহ বেশ কিছু নগরী ভ্রমণ করেন।বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহকারী অ্যাটর্নি জেনা রেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০ ০১ মেয়াদে ৫ (পাঁচ) বছর দায়িত্ব পালন করেন।এই সময়ে র মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরি চালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি,ফৌ জদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ ক রেন।তিনি দীর্ঘদিন ধানমণ্ডি ল’ কলেজের একজন খণ্ডকা লীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর এ কজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০ ১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।



Our Like Page