প্রথম বাংলা – বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, দেশের প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েট ছাড়া কেউ সাংবাদিকতায় আসার সুযোগ পাবে না। তবে যারা ইতোমধ্যে সাংবাদিকতায় পাঁচ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
বুধবার ৩১ মে দুপুরে নাটোর সার্কিট হাউসে ‘প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ’ বিষয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করে ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। সাংবাদিকদের স্বার্থে এই আইন এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। তিনি সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক ওয়েজবোর্ড গঠন করেন। বর্তমান সরকার প্রেস কাউন্সিল আইনকে যুগোপযোগী এবং আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আইন সংশোধনে প্রেস কাউন্সিল প্রস্তাবনা দাখিল করেছে সরকারের কাছে আশা করি খুব দ্রুত এই আইন সংসদে অনুমোদন হবে।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান আরো বলেন,অনলাইন ভিত্তিক মিথ্যাচার প্রতিরোধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়ো জন আছে। তবে এই আইনের অপব্যবহার রোধ করতে হবে।প্রেস কাউন্সিল সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করণ এবং সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমের মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করছে। পেশার উৎকর্ষতা সাধনে সাংবাদি কদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সুনিদিষ্টকরণ এবং ক্ষেত্রবিশেষ অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করা হবে। এই ডাটাবেজ ভুয়া সাংবাদিক তৈরির প্রবণতা রোধ করবে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। তথ্য অধিকার আইনের বিষয়ে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. মাসুদ খান। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মাছুদুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলী, নাটোর থানার ওসি মোহাম্মদ নাছিম।