নিজস্ব প্রতিবেদক :-বরিশালের বাকেরগঞ্জে অস্ত্র, মাদক, জালটাকা সহ একাধিক মামলার আসামি কে বাচাতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল, এতে এলাকার সাধারণ মানুষ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের মধ্যে ব্যাপক খোবের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানা যায় উপজেলার ৭নং কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর বাজার থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৮ টায় বরিশাল র্যাব -৮ এর অভিযানে মাদক জালটাকা ও বিদেশি অস্ত্র সহ আটক হন মেহেদী হাসান শৈশব (২৬) এসময় অপর আসামি শৈশবের পিতা আঃ কুদ্দুস মিয়া (৫৭) পালিয়ে জায়।৮ সেস্টেম্বর র্যাব ৮ এর ডিএডি/পুলিশ পরিদর্শক সিপিএসসি সুমন বিশ্বাস বাকেরগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেয়ারপুর বাজারে কুদ্দুস মিয়ার বাস ভবনের দোতলায় মাদক ক্রয় বিক্রয় ও জাল টাকা বিক্রির খবর পেয়ে র্যাব- ৮ এর একটি টিম রাত ৮ টায় ঐ ভবনের দোতলায় পৌছালে পিছনের দরজা দিয়ে কুদ্দুস মিয়া পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় কুদ্দুস মিয়ার পুত্র মেহেদি হাসান শৈশবকে ঐ রুম থেকে ৭৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট,
৮১ হাজার জাল টাকার নোট ও একটি ম্যাগজিন ও বিদেশি একটি পিস্তল সহ গ্রেফতার করা হয়। বাকেরগঞ্জ থানায় মাদক মামলা নং -৬/২২। জাল টাকা উদ্ধার মামলা নং – ৭ ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতারের মামলা নং- ৮।
উক্ত তিনটি মামলায় কুদ্দুস মিয়া ও তার পুত্র শৈশব সহ ঢাকা সবুজবাগ থানার ভাইকদিয়া ৭৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেলোয়ার ও মো: মবিন কে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ও একাধিক মামলার রয়েছে এছারাও ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কুদ্দুস ও তার পুত্র শৈশবের বিরুদ্ধে সিডিএমএস ও পুলিশি তথ্য উপাত্ত যাচাইবাছাই কালে বেরিয়ে আসে অসংখ্য লোমহর্ষক ঘটনার কাহিনী।
কুদ্দুস বাহিনীর প্রধান কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অসংখ্য জিআর,ননজিআর ও সিআর মামলা রয়েছে। কিছু বাকেরগঞ্জ থানার মামলা তুলে ধরা হলোঃ (১) নং-৫ তাং ৪/৩/২০০৮ (২) নং-৭ তাং ৫/১০/২০১২ (৩) নং-৫ তাং ৩/১২/২০১৩ (৪) নং-২৪ তাং ১৫/১২/২০১৩ (৫) নং-২৩ তাং ২৬/১/২০১৫ (৬) নং-৪ তাং ৪/১/২০২০ (৭) নং-১৬ তাং ২১/৩/২০২২
(৮) নন জিআর নং-১৪৪, তাং-৩০/১১/২০১৯
(৯) সি আর নং-৪৩৯/১৯
(১০) সি আর নং-৯৪৩/১৯, (আমতলী থানা) বর্তমানে আরও ৩টি সংযুক্ত হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কুদ্দুসের পুত্র শৈশবের বিরুদ্ধে মামলা নং-(১) নং-০৫, তারিখ ০৩/১২/২০১৩(২) নং-১৬, তাং-২১/৩/২০২২
(৩) নং-২২, তাং-২২/১২/২০১৮
(৪) সি আর নং-৯৪৩/১৯, (আমতলী থানা) বর্তমানে আরও ৩টি সংযুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বাকেরগঞ্জ উপজেলা সাখার আহব্যায়ক সদস্য সচিবে সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার কোন ইউনিয়নে যুবদলের কমিটি করা হয়নি, যারা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে পোস্টার, লিপলেট ছাপিয়ে লাগিয়েছে তাদের দায়ভার উপজেলা যুবদল নিবেনা।
এবিষয়ে উপজেলার যুবদলের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান রুবেল জানান আমরা বাকেরগঞ্জ উপজেলায় কোথাও কোন কমিটি করা হয়নি স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক দাবি করা মেহেদী হাসান শৈশবের ব্যক্তি অপরাধের দায় ভার বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদল নিবেনা।