পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :মোঃ বেল্লাল জোমাদ্দার:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালীইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন হাওলা দারকে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি জেএম খালেক।তিনি শাখাড়িকাঠী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইস্কান্দার আলী জোমাদ্দারের ছেলে।
সরকারি চাকরি করতেন তিনি”চাকরি ছেড়ে এলাকার মানুষের সেবা করতে এসে শুধু মামলার আসামিই নন পত্রিকার শিরোনামও হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩(মঠবাড়িয়া) আসনে কলার ছড়িপ্রতীকে র সমর্থক ছিলেন জেএম খালেক।এলাকায় দান অনুদা ন করায় তাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়।
সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য তুষখালী এলা কায় সমাজসেবামূলক কাজ শুরু করেন জেএম খালে ক। এ বছর তুষখালী এলাকায় ঈদ উপহারও বিতরন করেছেন তিনি। এরপর থেকেই স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় জেএম খালেকের নাম।তবে খালে কের পরিবারের লোকজনের দাবি, চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নয়-নিঃস্বার্থভাবেই এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।
জেএম খালেক সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান,খালেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।এতদিন সরকারী চাকুরীতে নিযুক্ত থাকায় রাজনৈতিক কোন পদ পদবী তে না থাকলেও আওয়ামী লীগ পরিবারেই বেড়ে উঠে ছেন তিনি।সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করলে চে য়ারম্যান হতে পারেন- এই ভয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে এক টি হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামি করেছে।এছাড়া ও এলাকায় তার ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হওয়ায় প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
জেএম খালেকের ইতোপূর্বে মঠবাড়িয়ায় তেমন পরিচি তি না থাকলেও মামলার আসামি হয়ে ব্যাপক আলো চনায় আসেন তিনি।মামলায় উল্লেখ করা হয়, তুষখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন হাওলাদারকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন।
কিন্তু স্থানীয়দের বক্তব্য – জেএম খালেক রামদা হাতে নেওয়ার মত লোক নয়।তিনি মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লোক।ঘটনাস্থলে না থেকেও মা মলার প্রধান আসামি হওয়ায় অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানেরও দাবি জানান তারা।
তাদের দাবি -হারুন হাওলাদার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।তার ওপর যারা হামলা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তবে কোন নিরীহ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়।এছাড়াও ঘটনার দিন জেএম খালেক স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।তদন্ত না করেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারজানান ,জেএম খালেক রাজনৈতিক গ্রুপিং ও প্রতিহিংসার শিকার।ঘটনাস্থলে না থেকেও তিনি মামলার আসামি হয়েছেন এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।