গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি,
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে তার স্বামীর সামনে মাটিতে ফেলে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে.এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।গত ২০ মার্চ উপজেলার আলমবিদি তর ইউনিয়নের খামার মোহনা আবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইউএনওর কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তরের সময় গঙ্গাচড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন এর কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুফিয়া খাতুনকে গালিগালাজ পূর্বক হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
ঘটনার পরের দিন ২০ মার্চ বাড়ির পাশে ঐ গ্রাম পুলিশের দেখা পেয়ে ঘুষ দাবির কারন জানতে চাইলে চড়াও হয়ে সুফিয়া খাতুনকে তার স্বামী আবুল কাশেমের সামনে এলোপাতাড়ি মারধর করেন গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান। এ ঘটনায় কারো কাছে বিচার চাইলে ক্ষতি করার হুমকি দেন ঐ গ্রাম পুলিশ।পরে গৃহবধূর স্বামী ইউনিয়ন পরিষ দের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন কে বিষয়টি অবগত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ মশিয়ার রহমানের কাছে অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,আমি কোনও প্রকার ঘুষ দাবী করি নাই,ঐ মহিলা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে আসলে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরে দেই। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ঐ মহিলা আমার শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। উনি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়ায় আমি চড়াও হয়েছিলা ম। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাবেক ওয়ার্ড সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। গ্রাম পুলিশ মশিয়ার রহমান’ই আ গে গৃহবধূর গায়ে হাত তুলেছেন যার প্রতিবাদস্বরূপ সুফিয়া খাতুন পর্দা রক্ষার্থে গ্রাম পুলিশের গায়ে হাত তোলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন,গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।