October 16, 2024, 8:16 am
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

লক্ষীপুরে ৩০ পরিবারের অবরুদ্ধ,ফ্লাটে উঠছেন মই দিয়ে অপরাধী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক 

Reporter Name

লক্ষীপুরে ৩০ পরিবার অবরুদ্ধ,ফ্লাটে উঠছেন মই দিয়ে অপরাধী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক

নূর মোহাম্মদঃ
দেলোয়ার হোসেন নাদিম, প্রবাসে কষ্টার্জিত আয় দিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ফ্ল্যাট কিনেন। ১০তলা ফ্ল্যাটের মালিকানা তিনিসহ বুঝে নেন ৩০ পরিবার। দশ তলা ফ্ল্যাটের নকশা অনুযায়ী ফ্ল্যাট বিক্রেতা সামছুল আলম মেম্বার ফ্ল্যাটের উন্নয়ন কাজ অবশিষ্ট রেখে সটকে পড়েন, এতে বিপাকে পড়েন ফ্ল্যাট মালিকরা। পরে বাধ্য হয়েই সকলে মিলে নকশা অনুযায়ী সীমানা ও নিরাপত্তা প্রাচীরসহ বেশকিছু উন্নয়ন কাজ করেন। সবকিছু ঠিকমতো চললেও ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অনুপস্থিতিতে আবদুর রহমান আরজু ড্রাইভার মূল ফটক ভেঙ্গে চলাচলের রাস্তায় গড়ে তুলেছে দোকানঘর। এতে করে শান্তির ফ্ল্যাটটিতে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে মই দিয়ে, শুধু নাদিমই নয় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৩০ পরিবার। ফ্ল্যাটের কয়েকজন মালিক ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে আরজুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আরজু ড্রাইভার এর অনুসারীরা নাদিমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামী ও অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নাদিম। তবে ফ্ল্যাটের মালিক অধিকাংশরাই অন্য জেলার হওয়ায় তাদেরকে কোনভাবেই পাত্তা দিচ্ছে না স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শুক্রবার বিকেলে এসব কথা জানান ভুক্তভোগী নাদিমসহ আরো অনেকে। এদিকে আরজুর দাবি, নিচতলার কিছু অংশ তিনি সামছুল আলম মেম্বারের কাছ থেকে কিনে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন, চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভাঙ্গার মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

নাদিম বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট দ্বীন ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুরে মই হাতে ফ্ল্যাটের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন নাদিম। প্রথমে দেখে মনে হলো আম পাড়তে কিংবা কোনো গাছে উঠতে তিনি যাচ্ছেন। পরে দেখি তিনি ফ্ল্যাটের ভিতরে প্রবেশের জন্য পিছনে মই দিয়ে কোনভাবে নিজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করছেন। এসময় তার সাথে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা ওই ফ্ল্যাটে আর প্রবেশ করতে পারেনি। শুধু তিনিই নন, এভাবে ৩০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা ও মূল ফটক ভেঙ্গে দোকানঘর নির্মাণ করে রাখায়।

ভুক্তভোগী নাদিমসহ ফ্ল্যাটের কয়েকজন মালিক জানালেন, ফ্ল্যাটের মূল ফটক ভেঙ্গে অভিযুক্ত আরজু দোকানঘর নির্মাণ করে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের ফ্ল্যাটে তারা এখন উঠতে পারছেন না। থানায় মামলা করায় উল্টো তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে আরজুর লোকজন, এমনটিই জানালেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।

এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, সামছুল আলম মেম্বার দীর্ঘদিন ফ্ল্যাট নিয়ে বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে রয়েছে। আরজু ড্রাইভার সামছু থেকে ফ্ল্যাটে যাওয়ার পথসহ কিছু অংশ কিনে নেন। পরে গেইট ভেঙ্গে আরজু দোকানঘর নির্মাণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি সাথে কথা বলার সময়, তিনি বলেন ভুক্তভোগী পরিবার রা একটা অভিযোগ করেছে। বিষয়টি সত্য উদঘাটন করে অপরাধীদেরকে চিনি তো করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে অপরাধী যত বড় ক্ষমতাশীল ব্যক্তি হোক না কেন আইনের বাইরে কেউ নয় আইন সবার জন্য সমান অধিকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page