নূর মোহাম্মদ : গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামগতি থানার চর বাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চর কলাকোপা গ্রামে র আবুল বাসারের বসতঘরে সংঘটিত জোড়া খুনের মামলা র আসামী জাকির হোসেন সুমনকে (৩৩) রাতভর অভিযা ন চালিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের উকিল বড়ির জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
জানা যায়, সুমন তার প্রাক্তন শ্বশুর আবুল বাসার (৫৮), পিতা-মৃত তোবারক আলী ও তার সাবেক স্ত্রী রাশেদা বেগম(২৩),পিতা-মৃত আবুল বাসার,উভয় সাং-পশ্চিম চর কলাকোপা,০৯নং ওয়ার্ড,চর বাদাম ইউপি,থানা-রামগতি, জেলা-লক্ষ্মীপুরদ্বয়কে ধারালো ছুরি দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে এবং শ্বাশুড়ি আংকুরি বেগমকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে ছোরা হাতে আশেপাশের লোকজনকে ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ স্থানীয় লোকজনসহ সারারাত আসামি সুমনকে গ্রে ফতারের জন্য তল্লাশি চালায় এবং চেকপোস্ট করে। ১৪ সেপ্টেম্বর ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় রামগতি ও কমলনগর থানার সীমান্ত করুনানগর বাজার এলাকা হতে আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীর দেখানো মতে তার ফেলে দেওয়া ছোরা পুকুর হতে উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে আসামী সুমনের সাথে তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের বিবাহ হয়। বৈবা হিক জীবনে আসামী জাকির হোসেন সুমন যৌতুকেরজন্য বিভিন্ন সময়ে রাশেদা বেগমকে মারধর করতো,সে কারনে বিগত ৫ মাস পূর্বে রাশেদা বেগম তার পিত্রালয়ে চলে আ সেন এবং আসামি সুমনকে ডিভোর্স দিয়ে গত ২১/০৮/২০ ২৩ইং তারিখ রাশেদা বেগম(২৩)পূনরায় আবদুল কাদের (৩৩) নামক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উক্ত বিষয়টি আসামী জানতে পেরে রাশেদা বেগমের প্রতিক্ষিপ্ত হয় এবং ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হত্যাকান্ড ঘটায়। রাশেদা বেগমের মাতা আংকুরি বেগম বর্তমানে নোয়াখালী জেনা রেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ) আসাদুর রহমা ন লাশের ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। জোড়া খুনের ঘটনায় রামগতি থানার মামলা নং- ১২ তারিখ- ১৪/০৯/২০২৩ইং, ধারা-৪৪৮/৩০২/৩২৬/৩০৭/৫০৬ রুজু করা হয়েছে।