নূর মোহাম্মদঃ ” আঁচলে মেঘনার মায়া, ডাকাতিয়া বুকে, রহমতখালী চলে গেছে মৃদু এঁকেবেঁকে ” কবির সেই রহমত খালী খাল আজ মানুষের দূষণ ও দখলে মৃতপ্রায়। তার সাথে যোগ হলো সরকারি সংস্থা সড়ক ও জনপথের রহমতখালী খাল ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণ করার কাজ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা,পার্বতীনগর ,বাংগাখাঁ,লাহারকান্দি,মান্দারী,বশিকপুর,দত্তপাড়া,হাজির পাড়া,উত্তর জয়পুর, ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে বরো মৌসুমে ধান উৎপাদনে পানির যোগান দিয়ে থাকে এই রহমতখালী খাল।খালের লক্ষ্মীপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনে ১৫-২০ ফিট ভরাট করে ঝুমুর -দক্ষিণ তেমুহনী – উত্তর তেমুহনী সড়ক সম্প্রসারণে র আওতায় কাজ করা হয়। সড়ক নির্মাণের জন্য ভূমিঅধি গ্রহণের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকলেও অদৃ শ্য শক্তির বলে এই অংশে ভূমি অধিগ্রহণ না করে খাল ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণ করে সড়ক ও জনপথ।
এর ফলে বর্ষা মৌসুমে যেমন পানি নিঃস্কাশন বাধাগ্রস্ত হ য়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে কৃষকদের আউশ ও আমন ধানে র উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে অন্যদিকে বরো মৌসুমে পানির জোয়ারে বাধার সৃষ্টি করে সময়মত পানি সেচ দিতে না-পা রার কারনে ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হবে।তাছাড়া অতিবৃ ষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বন্যার কবলে পড়বে জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
এ বিষয় জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, খাল ভরাটের বিষয়টি আমি জানিনা।আপনার মাধ্যমে জানলাম।
লক্ষ্মীপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড: জাকির হো সেন বলেন,কৃষি উৎপাদনের জন্য পানি অপরিহার্য। বরো মৌসুমে কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর জমি তে সেচের পানির জোগান দেয় রহমতখালী খাল। এই খাল ভরাট কোন ভাবেই কাম্য নয় ধান উৎপাদন ব্যহত হলে লোকসান হবে সবার।
এ বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফারক আহমেদ দায়সারা ভাবে জানান,এই খাল আমার দপ্তরের অধীন নয়,এটা ডি সির অধীন। তবে একই অফিসের একেকজন উপসহকারী প্রকৌশলীরা একে অন্যর উপর দায় ছাপিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান “লাখোকন্ঠকে” জানান, ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি আগের জেলা প্রশাসক থাকতে হয়েছে। খাল ভরাটের বিষয়টি আমি জানিনা।
তবে স্থানীয়রা জানান ডায়াবেটিস হাসপাতালের সামনের ভবনগুলো প্রভাবশালীদের হওয়ার কারনে তাদের জমি অধিগ্রহন না করে খাল ভরাট করে রাস্তা তৈরী করা হয়। অধিগ্রহনের সাথে জড়িত জরিপকারীরা কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।