মোঃ রবিউস সানি আকাশ স্টাফ রিপোর্টার
আবদুল্যাহ আল নোমান লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাকিব ইমাম লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলী গের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।জেলা যুবলীগে র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় রাকিব ইমাম নামে আরও এক যুবককে একি ভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছেন বলে জানা গেছে।মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দাবাজা র নাগের হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।এর আগে ২০২২ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একি ভাবে ৭নং বশিকপুর ইউ নিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন পাটোয়ারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কে গ্রেফতার করা হয়।
হত্যা মামলার আসামী বিএনপি নেতা ৫জনকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহি বুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইকতার বলেন,পোদ্দার বাজার-নাগেরহাট সড়কে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হসপিটালের মর্গে পাঠানো হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের প্রকৃয়া চলছে।নোমান-রাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, নোমান ও রাকিব দুই জনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।এদিকে নোমানের মৃত্যুর খবর শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু,জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু,লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া,আও য়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী,সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, সৈয়দ আহম্মেদ পাটোয়ারী,সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
নিহত নোমান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনি য়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ভাই। তিনি প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক।দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান,ঘটনার আ গে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান পোদ্দার বাজারে ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যদের বিদা য় দিয়ে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথেই দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও নোমানের মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। পরে গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে নোমান ও রাকিবকে পড়ে থাকতে দেখেন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান হাসপাতালে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ‘চন্দ্র গঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতির সন্ত্রাসীরা তার ভাই নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করেছে।জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরি ষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা এ হত্যার প্রতিবাদ জানাই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করছি।অপরদিকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দায়ী করে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ভূরুঙ্গামারীতে বিকাশ কর্মীর ছিনতাই হওয়া বাকীটাকা উদ্ধারসহ মুল হোতা আটক
খালেদা পারভীন ভুরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিকাশ এজেন্টের ১৫ লক্ষ (পনের লক্ষ) টাকা ছিনতাই হয় গত মার্চ মাসে।পরে তাত্ক্ষণিক ভাবে পুলিশ অভিযান চালালে ওই দিনি ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।পরে আজ ২৬ এপ্রিল অব শিষ্ট ৭ লক্ষ ৪০ হাজার (সাত লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকার মধ্যে হতে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা উদ্ধার ও মূল আসামীসহ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ ও অভিযোগ কারীদের সূত্রে যানাযায় গত ১৯ মার্চ বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয় নের বাগভান্ডার গ্রামের বিকাশ কর্মী শ্রী শুভ কুমার রায় (২৬),পিতা-শ্রী বিশ্বাস চন্দ্র রায় ১৫ লক্ষ (পনের লক্ষ) টাকা নিয়ে বিকাশ এজেন্টদের নিকট বিলি করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে ভূরুঙ্গামারী থেকে সোনাহাট ক্যাম্পের মোড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় উক্ত বিকাশ কর্মী ভূরুঙ্গামারী থেকে সোনাহা ট যাওয়ার পথে অত্র থানাধীন দক্ষিণ ভরতেরছড়া নামক স্থানে জনৈক শাহ আলম মেম্বারের বাড়ির পার্শ্বে পাঁকা রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে আসামী শ্রী প্রসেনজিত বর্মণ (২৭),পিতা-মৃত শশিমোহন বর্মন,শান্তিটা রী দিঘীরপাড় ৯নং ওয়ার্ড,খাদিমুল ইসলাম (লাল) (২৭), পিতা- আজিজুল হক,বোয়ালের ডারা ৩নং ওয়ার্ড,উভয় থানা-নাগেশ্বরী,মোস্তফা (৩০),পিতা হানিফ মন্ডল,গনাইর কুটি,ভূরুঙ্গামারীগণ তাদের ব্যবহৃত চলন্ত মোটরসাইকেল দ্বারা একই উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করে দস্যুতার জন্য বিকাশকর্মীর চলন্ত মোটরসাইকেলের পিছন থেকে ধাক্কা দিলে বিকাশকর্মী তার সঙ্গে থাকা টিএমও শ্রী বিদ্যুৎ চন্দ্র সহ পাঁকা রাস্তার উপড় পড়ে যায়। সেই সুযোগে মোটরসাইকেলে থাকা আসামীগণ বিকাশকর্মী ডিএসও শ্রী শুভ কুমার এর কাছে থেকে ১৫ লক্ষ (পনের লক্ষ) টাকা রক্ষিত একটি ব্যাগ দস্যুতা সংঘটনের মাধ্যমে ছিনতাই করে সোনাহাটের দিকে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তারা।
উক্ত ঘটনার পরপরই কচাকাটা ও ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ কর্তৃক উল্লেখিত প্রথম ও দ্বিতীয় আসামীকে কচাকাটা থানাধীন ছনবান্দা খলিশাবাড়ি গ্রামস্থ ১,২ ও ৩নং আসামী কে পলায়নের সহায়তাকারী এজাহার নামীয় ৪নং আসামী মোন্নাফ আলী (২৫), পিতা খলিলুর রহমান এর বাড়ির সাম নে থেকে দস্যুতালব্ধ ১৫ লক্ষ (পনের লক্ষ) টাকার মধ্যে ৭ লক্ষ ৬০ হাজার (সাত লক্ষ ষাট হাজার) টাকা সম্বলিত একটি কালো রংয়ের হাত ব্যাগ ও দুস্যতার ঘটনায় ব্যবহৃ ত কালো সবুজ রংয়ের বাজাজ পালসার (১৫০ সিসি) মোটরসাইকেল যার রেজিঃ নম্বর কুড়িগ্রাম-ল-১১-৩৫০৪ উদ্ধার সহ গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। এবং পলায়নে সহায়তাকারী আসামী মোন্নাফ আলী (২৫) কেও গ্রেফতার করা হয়। বর্ণিত ঘটনায় ভূরঙ্গামারী থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২০ মার্চ ২০২৩, ধারাঃ ৩৯৪/৩৪/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০; রুজু করা হয়।
ঘটনার পরবর্তী ২য় দিন এজাহার নামীয় ১ ও ২নং আসামী র ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রদত্ত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির প্রেক্ষিতে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী রুহুল আমিন (২৮),পিতা ইউনুস আ লী,কুটিপয়রাডাঙ্গা,থানা-নাগেশ্বরী,গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত আসামীও ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতা বেক বিজ্ঞ আদালতে প্রদত্ত স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করে। আসামীদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানব ন্দি ও মামলাটির তদন্তকালে এই দস্যুতা সংঘটনের মূলহো তা ও পরিকল্পনাকারী এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোঃ মো স্তফা (৩০), পিতা- হানিফ মন্ডল,থানা-ভূরুঙ্গামারী,জেলা-কুড়িগ্রাম মর্মে প্রকাশিত ও প্রাথমিক ভাবে প্রতীয়মা ন হয়। দীর্ঘদিন আন্তগোপনে থাকার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যব হার ও গুপ্তচর নিয়োগের মাধ্যমে আসামী মোস্তফা (৩০) কে ২৫ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ০৫.৩০ ঘটিকার সময় কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগীতায় ভূরুঙ্গা মারী থানা পুলিশ কর্তৃক কুড়িগ্রাম থানাধীন জিয়া বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর আসামী মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে ও তার হেফাজতে দস্যুতালব্ধ টাকা আছে মর্মে স্বীকার করে। ধৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ধৃত আসামী সহ অভিযান পরিচালা না করে তার দেখানো মতে তার বসত বাড়ির পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী চৌচালা টিনের ঘরের চাঙ্গের উপর হতে দস্যুতালব্ধ অবশিষ্ট ৭,৪০,০০০/- (সাত লক্ষ চল্লিশ হাজা র) টাকার মধ্যে হতে বিকাশের জনতা ট্রেডার্স কোম্পানীর ব্যাগ সহ ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা ২৬ এপ্রিল রাত্রী ০৩.৪৫ ঘটিকার সময় উদ্ধার করা করেন থানা পুলিশ। বর্ণিত দস্যুতা মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত ১৫,০০ ০০০/- (পনের লক্ষ) টাকার মধ্য হতে সর্ব মোট ১৪,২০ ,০০০/- (চোদ্দ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সহযোগিতায় ছিনতাই হওয়া ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আমরা দুটি অভিযানে ১৪ লাক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি।তাছাড়া দুস্যতার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটসাইকেল ও অন্যান্য সকল আলামতও জব্দ করা হয় এবং জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।