স্টাফ রিপোর্টার – নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮ নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা কৌশলে সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার(১৭ই নভেম্বর-২২)দু পুর ১২ টা ২০ মিনিটের দিকে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের গ্রাম্য আদালত রুমে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতি দিন পত্রিকার লালপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও চ্যা নেল-২০ এর নাটোর জেলা প্রতিনিধি অন্যায়ের সাথে আপোষহীন,দুঃসাহসী কলম সৈনিক সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম মোহন জানান ,বৃহস্প তিবার ঐ সময়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্ব রের সামনে চায়ের দোকানে দাঁড়ালে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা তার চেম্বার থেকে বাহিরে এসে ডান হাত উঁচু করে ইশারার মাধ্যমে আমাকে ডাক দিলে তার নিকট যাওয়া হয়।
এ সময় তিনি তার পরিষদের গ্রাম্য আদালতের শা লিশ রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার পকেট থেকে ৩টি ব্যান্ড &সন্স শলাকার সিগারেট বের করে তার মুখে ধরে গ্যাসলাইটার দ্বারা জ্বালিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আমাকে বলে এই খানকির পুত,তুই পরিষদের সামনে আসবি না,১০০ গজ দূরে থেকে নিউজ করবি,আর যদি পরিষদের আশপাশে তোকে দেখি ঐ দেখ বকুল গাছ,তোর পুটকির মধ্যে বাঁশ ঢুকিয়ে দিয়ে ঐ গাছে ঝুলিয়ে রাখবো,তৎক্ষনাৎ এ ধরনের আচরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এই খানকির পুলা দরজা খুল,বের হ এখান থেকে তাড়াতাড়ি,এগুলো বলার জন্যই তোকে ডেকে এই রুমে নেওয়া হয়েছে মাদার চোদ।১০০ গজ দূরে থেকে যা খুশি নিউজ করবি আমার সামনে এবং আমার পরিষদের আশপাশে আসবি না মরে রাখি স।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম মোহন নিরাপদ স্থানে এসে জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চীফ আবুল হাসেম কে জানালে,আবুল হাসেম চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।চ্যানেল ২০ এর চেয়ারম্যান ও এর অন্যান্য সদস্যরাও ফোন দিলে তিনি কোন মতেই ফোন রিসিভ করেন নি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম মোহন আরো জানান,তোফা চেয়ারম্যান এর সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই,তবে গত ৬ নভেম্বর-২২ ইং তারিখে তাহার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিনকে ইমো হ্যাকের দায়ে আটক করেছিল পুলিশ,এ সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যানেল-২০তে ইমো হ্যাকের দায়ে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আটক শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যাহা ১০০% সত্য ঘটনা ছিল। ৭ নভেম্বর বাঘা থানার মাধ্যমে তাকে রাজশাহী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
সম্ভবত এই কারনেই হঠাৎ করে কৌশলে ডেকে এমন ঘটনা ঘটালো কি না? সন্দেহ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি বকুল শেখ ও নাটোর সদর উপজেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম বলেন,সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম মোহন এর সাথে আকস্মিক ভাবে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,তোফাকে বারবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি আমাদের কারো ফোন ধরছেন না,আগামী সপ্তাহে উক্ত পরিষদ এলাকা পরিদর্শন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য যে,সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম মোহন উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের একজন সাধারণ ভোটার।