March 20, 2025, 5:29 am
শিরোনামঃ
মুক্তাগাছা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ঈদে মহানগরীর নিরাপত্তায় ডিএমপি ১৪ নির্দেশনা ৩১ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১০৫ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকার সহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সংবাদটি দ্রুত পৌঁছে যায় সুদূর হবিগঞ্জে ভিক্টিমের পরিবারের নিকট ময়মনসিংহ অবৈধ নকল খাবার তৈরির মোমিন ফুড প্রোডাক্ট কারখানায় সিলগালা সহ জরিমানা রংপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাবার সময় ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ ময়মনসিংহে আটক আরসার ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা, ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ ময়মনসিংহে দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শওকত হাওলাদারের সন্ত্রাসী পুত্রের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের একশন শুরু সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম’র কাছের লোক পরিচয়ে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পিডি বারেকের
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালায় শিশু জিসান

Reporter Name

আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-

নাম জিসান বয়স নয় কি দশ মলিন মুখখানির দিকে তাকালে যে কারও মায়া লাগতে পারে। যে বয়সে হাতে স্কুলবই থাকার কথা, বন্ধুদের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়ানোর কথা, খেলাধুলা করার কথা, সে বয়সে কাঁধে তার সংসারের ভার। পেটের তাড়নায় অটোরিকশা নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বন্ধুদের চোখ এড়িয়ে তাকে চালাতে হয় অটোরিকশা। জিসান নামের এই শিশুটির জীবনের গল্প এমনই করুণ।

নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয় নের উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জিসান।পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে স্কুলে যাওয়া হয়নি জিসানের।

জিসানের অটোরিকশায় চড়তে গিয়েই তার সঙ্গে পরিচয় ও কথা। ধূলিজীর্ণ শুষ্ক চোখেমুখে কী এক অদ্ভূত মায়া লেগে আছে। জিসান বলে,আগে স্কুলে যাইতাম,এখন যাই না। বাবা অসুস্থ,কামাই করতে পারেন না,ভারী কাজও করতে পারেন না। ভারী কাজ করতে গেলে আব্বা হাফাইয়া ওঠেন। তার সপ্তাহে আটশত টাকার ওষুধ লাগে। তাই আমি গাড়ি চালাই। সারাদিন রিকশা চালাইয়া যা উপার্জন করি,তা দিয়া বাবার ওষুধ এবং সংসার চালাই।

তবে জিসানেরও মন চায় আর দশজন বন্ধুর মতো সকাল-বিকেল বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছুড়ে বেড়াতে। হইহুল্লোড় করতে। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা তার বড়ই প্রতিকূল। সে জানায়, তারও প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খেলাধুলা করে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু দিনশেষে বাড়িতে খাবার নিয়ে ফিরতে হবে,এই ভাবনাও থাকে তার। একদিন কামাই না করলে বাবার ওষুধ কেনা হবে না। তাই মনের কথা সে মনেই সুপ্ত থাকে। তবে সুযোগ পেলে সেও পড়ালেখায় মনোযোগী হতে চায়।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST