প্রথম বাংলা – রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সিন্ডিকে টই গিলে খাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া,আর্থিক কোডের আইন ভঙ্গ করে পুরনো বিল উত্তোলন, টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে কাজ বর্ধিতকরণের আদেশ প্রদান, ক্ষমতার যথেচ্ছা অপব্যবহার, দুর্নীতি, লুটপাটের শিরোমণি হয়ে উঠেছেন তিনি। লুটেরা সিন্ডিকেটের মূল হোতা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও দুই তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সহ প্রকৌশলী সমিতির বেশ কয়েকজন নেতা। তারা কমিশন বাণিজ্যেও সেরাদের সেরা। অধিদপ্তর কেন্দ্রীক শুধু কমিশন কান্ডেই প্রতি মাসে তারা হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।
কথিত আছে, অতিরিক্ত প্রথম রফিকুল ইসলামের কমিশন তুলতেও অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফজলুল হকসহ তিন কর্তাকে সদা ব্যস্ত থাকতে হয়।
এভাবেই নানা খাতে বেশুমার দুর্নীতির মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়েছেন তিনি, গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদের পাহাড়। শুধু দেশেই নয়, ভিন্দেশে সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম পর্যন্ত গড়েছেন রফিকুল ইসলাম। ইউরোপ ও মালয়েশিয়াতে রয়েছে তার নামিদামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বড় ও মাঝারি শ্রেণীর টেন্ডারে অংশ নিয়েও ‘ডিসকোয়ালিফাই’ হওয়া ঠিকাদার গ্রুপগুলোর সঙ্গে তার গলায় গলায় পীড়িত। বিপুল অঙ্কের চাহিদার বিপরীতে ছলে বলে কৌশলে টেন্ডার কাজ বাগিয়ে দেয়া তার বা হাতের খেলা। গত দেড় বছরেই এ ধরনের অন্তত দুই ডজন কাজ হাতিয়ে তা পছন্দের লোককে পাইয়ে দিয়েছেন রফিকুল সিন্ডিকেট। এসব কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্যই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে রয়েছে তার শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তা, কর্মচারী, সিবিএ নেতা ও কর্মচারী সমিতির দাপুটে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা রফিকুল সিন্ডিকেটের ব্যাপারে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করতে সাহস পান না।
এমনকি অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে পর্যন্ত কোণঠাসা করে রাখার নানা কাহিনী ছড়িয়ে আছে সড়ক ভবনে, মানুষের মুখে মুখে। বহুল বিতর্কিত এ রফিকুল ও তার সিন্ডিকেটের দাপুটে সব কর্মকান্ডের রয়েছে নানা জালজালিয়াতী।