মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রবি রাউজান চট্টগ্রাম
রাউজানে সালাউদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ৬মে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শাহ আলম নামে (পূর্ব পরিচিত) সালাউদ্দিন কে কল দিয়ে বের হতে বলে। সালাউদ্দিনের বাড়ির কিছুটা দূরে অপহরণকারীরা একটি সিএনজি ও দুটি মটরসাইকেল নিয়ে অন্ধকারে দাড়িয়ে থাকে।সালাউদ্দিন তাদের কাছে যেতেই সাথে থাকা সিএনজিতে জোরপূর্বক তুলে নেই।
সালাউদ্দিন তখন চিৎকার চেচামেচি করলে এলকার কয়েকজন লোক এগিয়ে আসলেও দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের ভয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে দুর্বৃত্তরা সালাউদ্দিনকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। সালাউদ্দীন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সোনালী তালুকদার বাড়ির মৃত ইউনুচ মিয়ার ছেলে।
অপহরণের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে পূর্ববর্তী শত্রুতার জের ধরে (যেটা আগে মিটমাট হয়েছিল) তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং আমার সমস্ত শরীরে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি আর হাতে চুরিকাঘাত করে, এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও প্রদান করে। তারা আমার থেকে ৪লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে, আমি আমার প্রাণ বাচাতে আমার ছেলের কসম কেটে তাদেরকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে তারা আমাকে মুক্তি দেই।তারা এইও বলে যে এই ঘটনা জানাজানি হলে তোকে সহ তোর পরিবারের লোকজন কে প্রাণে মেরে দিব। এই ঘটনায় ৭মে সালাউদ্দিনের মামা আইয়ুব মিয়া বাদী হয়ে রাউজান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড গফফার তালুকদার বাড়ির মৃত নুরুল আলমের ছেলে ১/ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর(৩৮), মৃত আব্দুল হাজীর ছেলে ২/ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২৭) মোহাম্মদ আব্দুল মোনাফের ছেলে ৩/মোহা ম্মদ শাহ আলম(৪০) সহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮জন।তথ্য সূত্রে জানা যায় ১নং বিবাদী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে এই অপহরণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা হয় এবং সে একজন মাদক কারবারি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার দিন তদন্তে যাওয়া চিকদাইর পুলিশ পাড়ির উপ-পরিদর্শক এএসআই মোহাম্মদ হোসাইন বলেন ৯৯৯এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং বিবাদীদের ঘর তল্লাশি করি তবে সেখানে কেউ ছিলনা। এই বিষয়ে রাউজান থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে সেই সুবাদে এই ঘটনার তদন্ত চলছে এখনো।