July 27, 2024, 4:28 am
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন,অধ্যক্ষের অপসারণ দাবী

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক :- ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার জেড এ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবীকরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী।

৬ আগস্ট ২০২২,মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মোল্লার হাট ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে মোল্লার হাট বাজার চৌরাস্তায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়,কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ূব আলী অতি গোপনে কলেজে চারজন ল্যাব সহকারি নিয়োগ দেন হঠাৎ নিয়োগকৃত চারজন গত ৩১ আগস্ট ২২ বুধবার কলেজে যোগদান করতে আসলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষক কর্মচারীরা তখনই তাদের নিয়োগ সম্পর্কে জানতে পারেন। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকার মানুষের দৃষ্টিগোচর হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধ ও অনৈতিক নিয়োগ প্রতিক্রিয়া বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ্যে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন।

এলাকাবাসীর দাবি এই নিয়োগ কোন জাতীয় অথবা স্থানীয় বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রচার করা হয়নি। যার কারণে তারা এ নিয়োগ সম্পর্কে জানতে পারেনি। অধ্যক্ষের কারসাজিতে গোপনে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে দাবী এলাকাবাসীর

বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় খায়রুল ইসলাম রানা জানান, এলাকার যে কোন প্রতিষ্ঠানে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত কিন্তু এই অধ্যক্ষ এলাকার কোন মানুষকে মূল্যায়ন করেন না। তিনি সমস্ত কাজ নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে করে থাকেন।

কলেজের কোন অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসেও স্থানীয় কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয় না এছাড়াও তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে লেখাপড়ার মাননিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সচেতন অভিবাবক মহল।

অনেকেই তাদের বাচ্চাদের পাশের উপজেলায় অবস্থিত কলেজে ভর্তি করিয়েছন। এতে করে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। শিক্ষার মান ফিরেয়ে আনতে এই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি তাদের।
অন্যদিকে তার পুত্র তৌহিদুল ইসলাম রিগানকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ দেন।

নিয়োগের আগে থেকেই তিনি সরকারী প্রাথিমিক বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং নিয়োগের পরও দীর্ঘ ৪ বছর সেখানে চাকুরি রত ছিল। বর্তমানে সে কলেজে নিয়মিত না এসেও হাজিরা খাতায় সাক্ষর দেন।

একই সাথে ল’ কলেজ, বরিশালে চাকুরি করেন যা শিক্ষানীতির পরিপন্থী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এছাড়াও সম্প্রতি অধ্যক্ষের অবহেলায় ডিগ্রি পরিক্ষা হতে বঞ্চিত হন ডিগ্রি ২য় বর্ষের দুই জন শিক্ষার্থী গত ৫ এপ্রিল ২০২২ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, জেলা পরিষদ চেয়ারমান সহ অনেককে অবহিত করেন।

ভুক্ত ভোগীরা, বিষটি মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে অধ্যক্ষ নিজেই মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করেন।

এছাড়াও গত দু’বছর আগে তিনি দুইজনকে নিয়োগ দেন একজন লাইব্রেরিয়ান অন্যজন সহকারি লাইব্রেরীয়ান সে খবরও এলাকার মানুষ জানতো না। শুধু মানুষই নয় তৎকালীন উপাধ্যক্ষও (বর্তমান অধ্যক্ষ শহিদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ, স্বরূপকাঠি) সেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইতিপূর্বে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করা হয় আভিযোগ নম্বর ৩১৩/২০১৯ । বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ২৮-০১-২০২০ তারিখে ৪২২১ নং স্বারকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে আজও তার বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য এই অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী প্রভাষক থাকাকালীন বিভিন্ন ধরনের কূরুচি পূর্ণ আচার-আচরণ এবং নারী কেলেঙ্কারির জন্য এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও তার প্রতিকৃতিতে কুকুরের কাটুন বানিয়ে কূশপুতিদাহ করেন। এছাড়াও তিনি প্রভাষক থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাবেক এই বিএনপি নেতা বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছে একচেটিয়া ভাবে। উপর মহল ও অফিস আদালত ম্যানেজ করতে পটু অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস পান না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এবং গোপনে নিয়োগকৃতদের নিয়োগ বাতিল পূর্বক প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে পুনরায় আবার নিয়োগ দেবেন এমনটাই দাবি বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসির।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আইউব আলী তলুকদার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,একটি কুচক্রী মহল আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার চেস্টা করছে

কলেজের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান,নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page