প্রথম বাংলা – আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করবেন। আসন্ন বইমেলা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা,আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ডিএমপির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ৩য় তলার সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার),পিপিএম (বার)।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম-বার,পি পিএম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বই মেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
পরে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ এর সার্বিকনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি,গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন,ঢাকা ওয়াসা,বাংলাএকা ডেমি,ফায়ার সার্ভিস,ডিপিডিসি,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,সংস্কৃ তি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠা নের প্রতিনিধিগণ এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মতামত প্রদান করেন।
সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন,প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে অমর একুশে বইমেলা। এই বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বই মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ,চুরি-ছিনতাই, অগ্নিকাণ্ড এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল কারণ আমরা দেখেছি নাশকতাকারীরা মেট্রোরেলেও নাশকতা করার চেষ্টা করেছে।
বইমেলায় গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। বইমেলার ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভিতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার। থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানস্থল সমূহ সুইপিং করা,সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন,বিলবোর্ড,ব্যানার ও মাইকিং করে দিক নির্দেশনা প্রদান,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং ,মেলাপ্রাঙ্গন ড্রোন দ্বারা মনিটরিং করা হবে এবং সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান,ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাড মিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতি রিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্,ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম;অতিরিক্ত পুলিশ কমি শনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) ;সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোঃ মিজানু র রহমান,বাংলা একাডেমির পরিচালন (প্রশাসন,
মানব সম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) কে এম মুজাহিদুল ইসলাম,বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন ছোটন ও সহ-সভাপতি শ্যামল পাল; গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ;ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ,উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ।