মোঃ তপু শেখ গোপালগঞ্জ
আমার সহধর্মীনি নাদিরা বেগমকে আমার চাচাতো ভাই কবিরুল ইসলাম চুন্নু এর হুকুমে মেরে ফেলেছে তার জামা ই ও এস্কেন্দার আলী মোল্লা সহ তার সহযোগীরা। গিমাডা ঙ্গা গ্রামের মধ্য পাড়ার নওয়াব আলী শেখ এর ছেলে সলি মুল্লাহ শেখ গনমাধ্যম কর্মীদের একথা জানান।সরেজমিনে গেলে জানা যায়,গত ১২ই মে এ ঘটনা ঘটে ওহিদ গাজীর বাড়ির পাশের রাস্তায়। ঐ দিন সলিমুল্লাহ ছনু চাচাতো ভাইদের আত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মটর সাইকেল যোগে থানায় যাবার পথে দূবৃত্তরা হামলা করে তাদের উপর, মটর সাইকেলের পিছে বসা নাদিরা বেগমকে পিছন থেকে বাড়ি মেরে ফেলে দেয়। দূবৃত্তদের লাঠির আঘাতে নাদিরা বেগম গাড়ী থেকে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যায়।
প্রথমে তাকে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, ওখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে খুলনা গাজী মেডিকেলে প্রেরন করেন।ওখান থেকে শেখ নাছের হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা জন্য যায়,সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিরার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মরোদেহ বাড়িতে এনে এলাকাবাসী ও মাদবর দের ক্ষপ্পরে পড়ে মামলা দিতে বিলম্ব হয়। তারই সমাজের কিছু আসাধু মাতবর ও মুরব্বিরা ব্যপারটা মিমাংসা করে দেবে বলে জানায়, একপর্যায়ে ছনু শেখ তার স্ত্রী হত্যার ব্যপারে মামলা দেবে বলে এলাকার কিছু অসাধু লোকজন তাকে ভয়ভিতী প্রদর্শন ও জিম্মি করে রেখে মামলা করতে দিবেনা বলে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় নাই।
ঘটনাস্থলে গেলে আরো জানা যায়, বহুদিন ধরে কবিরুল ইসলাম চুন্নু জোর করে সলিমুল্লাহ ছনুর জায়গা জমি জোর দখল করে খায়। সলিমুল্লা কিছু বলতে আসলে তাকে মারধর করে। তার ৪টি মেয়ে এদের উপরও বারবার অত্যাচার করে আসছে এই চুন্নু ও তার জামাই।
এ ব্যপারে মৃত নাদিরা এর স্বামী সলিমুল্লাহ গনমাধ্যম কর্মী দের জানান,আমার স্ত্রী মারা যাওয়র পর ওরা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের প্রয় ১ মাস জিম্মি করে রাখে, ওরা বার বার ব্যপারটা মিমাংসা করে দেবে বলে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় নাই,মামলাও করতে দেয় নাই।ওরা আমার পরিবারের সাথে দীর্ঘ্য দিন যাবত অত্যাচার করেই চলেছে। ওরা আমার গাছ কেটে নিয়ে যায়, আমার পুকুরের মাছ মেরে ফেলে ঔষুধ দিয়ে আমার পুকুরে মধ্যে আবৈধ ভাবে জোর করে গুরুর গবর ফেলে, আমরা কিছু বলতে গেলে ওরা আমার ও আমারপরিবারের উপর বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার করে, এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানয় একাধিক অভিযোগ দায়ের করা আছে।
তার কাছে তার স্ত্রী হত্যার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ দিন আমার চাচাতে ভাই, তার জামাই ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে,আমি সহ্যা করতে না পেরে আমার স্ত্রীকে নিয়ে থানায় ব্যপারটি জানাবো বলে বাড়ি থেকে বের হই্ দূবৃত্তরা ব্যপারটি বুঝ তে পেরে ওহিদ গাজীর বাড়ির সামনে গিয়ে ওত পেতে থাকে, আমরা ওখানে পৌছালে কবিরুল ইসলাম চুন্নুর হকুমে তার জামাই এস্কেন্দার আলী মোল্লা আমার স্ত্রীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে ফেলে দেয় তার সাথে থাকা সহযোগীরা আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে মারতে থাকে।
এলাকার লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে দূবৃত্তরা পালিয়ে যায় তিনি আরো বলেন,কবিরুল ইসলাম চুন্নু আমার সৎ ভাই,সে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়িছে আগে,তার বরুদ্ধে খুনের মামলা,ডাকাতি মামলা সহ আরো অনেক মামলা আছে যা টুঙ্গিপাড়া থানায় খোজ খবর নিলে জানা যাবে। সে ফ্রিডম পার্টি করেছে সেই সাথে তৎকালীন সময়ে বিএনপি ও করেছে, তার উপর খুনের মামলা থাকাকালীন সময়ে পাকিস্থান পলিয়ে যায় সেখানে সে বহুবছর খেকে আসে।
টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তি যোদ্ধার সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে নানা অপকর্ম করে বেঁচে যাচ্ছে। তার মেয়ে জামাই টুঙ্গিপাড়া স্ট্রান্ডার্ড ব্যাংকে কর্মরত আছে,সেখান থেকে এসে আমাদের উপর অত্যাচার করছে। এই চুন্নু আমাদের সমাজের কিছু অসাধু লোকজনদের সাথে নিয়ে তার সকল অপকর্ম ডেকে রাখে। আজ আমি গোপালগঞ্জ আদালতের দারস্ত হয়ে আমার স্ত্রী হত্যার মামলা দায়ের করেছি। মামলার তদন্ত চলমান।আমি একজন সামান্ন মুদি দোকানদার। আমার চারটি ছেলে মেয়ে আমি, আমার একটি মেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আর একটি মেয়ে কলেজে পড়ে।
ওরা আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আপনাদের মাধ্যমে আবেদন করছি,তিনিই একমাত্র মমতাময়ী মা যে আমার স্ত্রী হত্যার বিচারের ব্যবস্থা যাতে হয়,সেই দিকে দৃষ্টিদানকরবে আমি চাই যারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।