October 11, 2024, 11:41 am
শিরোনামঃ
রিসোর্টের বন্ধ ঘরে মিললো সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ ঘণ্টায় ৪০ লাখ কি.মি. বেগে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর সৌরঝড়, তাণ্ডব চলবে ৬ ঘণ্টা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন মিরপুরে অভিনব কায়দায় চাদাঁবাজি ও প্রতারণা, ৫৭,৫০,০০০ টাকা উদ্ধারসহ ৬ জন গ্রেফতার গণপূর্ত প্রকৌশলীর দুর্নীতিতে তাজউদ্দীন মেডিকেলের লিফট যেন মরণ ফাঁদ গণপূর্ত প্রকৌশলীর দুর্নীতিতে তাজউদ্দীন মেডিকেলের লিফট যেন মরণ ফাঁদ ময়মনসিংহে বন‍্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা ওয়াহাব আকন্দ ২০২৫ সালে উৎপাদনে যাবে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: আশা রাশিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের ময়মনসিংহে যমুনা টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা:গ্রেপ্তার ১ ডিসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

আর্জেন্টিনা প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

Reporter Name

নিজস্ব ডেস্ক অনেক প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসির আর্জেন্টিনা !

মন্টিয়েল পেনাল্টি থেকে যখন গোলটি দিলেন বুয়েন্স আয়ার্সে তখন বিকেল। সেই বিকেলের সূর্য আর্জেন্টিনায় ডুবলেও উঠেছে সারা বিশ্বে, বিশ্ব ফুটবলে। আর্জেন্টিনা আবারও বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন।

৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট পড়লো আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন তার সেই অধরা ট্রফিটি।

প্রথমার্ধের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এমবাপের দুই মিনিটের ম্যাজিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-২ এ সমতায় থেকে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ করে ফ্রান্স৷ অতিরিক্ত সময়েও চলে নাটক। এবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও এমবাপে গোল করলে ৩-৩ সমতায় থেকে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। সেখানেই জয় লাভ করে ফ্রান্স।

শুরুটা আর্জেন্টিনা করেছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের ৪ মিনিটে ডি পল এবং আলভারেজের দারুণ বোঝাপড়ায় ডি পলের বাড়ানো বলে আলভারেজ শট নিলেও রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন। ৬ মিনিটে ম্যাক এলিস্টারের দূরপাল্লার শট সোজা তালুবন্দি করেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস। এর ঠিক ২ মিনিট পর আবারও আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা।

এবার ডি পল ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট নিলে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ভারানের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। অবশ্য সেই কর্নার কাজে লাগাতে পারেননি আলবিসেলেস্তারা। ১৬ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার ডি পলের ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে ডি মারিয়ার ডান পায়ের শট চলে যায় গোলবারের অনেক উপর দিয়ে।

ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ডেম্বেলে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তার ৬ষ্ঠ গোল।

পুরো মাঝমাঠেই যেন ফ্রান্সকে আটকে রাখে আর্জেন্টিনা। বল দখলে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত কাউন্টার এটাকে খেই হারিয়ে ফেলে ফ্রান্স। মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে আলভারেজ বল পেলে সেটি বাড়ান ম্যাকএলিস্টারের উদ্দেশ্যে, দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে তিনি বল দেন ডি মারিয়াকে। তিনি আর মিস করলেন না।

কোপা আমেরিকার ফাইনাল, ফিনালিসিমার পর আরও একটি ফাইনালে গোল করলেন এই জুভেন্টাস তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধেই জিরু ও ডেম্বেলেকে পাল্টে ফেলেন ফ্রান্স কোচ। তবুও তাদের ভাগ্যের চাকা ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৫১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ডি বলের ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ভলি সোজা লরিসের হাতে গিয়ে পড়ে। ৬০ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। বাম পাশ থেকে আলভারেজের নেওয়া শট দারুণভাবে সেভ করেন লরিস।

ম্যাচ যখন শেষের দিকে যাচ্ছে ঠিক সে সময়েই যেন জ্বলে ওঠেন এমবাপে। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন এই পিএসজি তারকা। ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করে এমবাপে। ৮১ মিনিটে এমবাপের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা। দুই গোল দিয়ে যেন আরো উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স।

৯৬ মিনিটে কামাভিঙ্গার শট দারুণভাবে সেভ করেন এমি মার্টিনেজ। এর ঠিক এক মিনিট পর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মেসির দূর পাল্লার বুলেট গতির শট হুগো লরিস ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর রেফারি বাঁশি বাজালে ২-২ সমতায় থেকেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচের ১০৮ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। এটি বিশ্বকাপে তার ৭ম গোল। মেসির এই গোলের রেশ না কাটতে কাটতে এমবাপের আবার গোল। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৩-৩ সমতায় এনে টাইব্রেকারে নিয়ে যান এই তারকা।

ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আবারও দলকে রক্ষা করলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এবার তিনি বিশ্বকাপ এনে দিলেন। স্পট কিক থেকে ফ্রান্সের কোম্যানের পেনাল্টি রুখে দেন মার্টিনেজ এবং চুয়ামেনি মারেন গোলবারের বাইরে দিয়ে। অন্যদিকে চারটি স্পট কিক থেকে চারটিতেই গোল করে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতলো আর্জেন্টিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page