—বাংলাদেশ এখন একটি ভয়ানক ভুল পথে হাঁটছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে দূরদর্শিতা নেই, আছে হঠকারিতা; আছে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লোভ আর জাতির ভাগ্য নিয়ে জুয়া খেলার নির্মম চক্রান্ত। ভারত ও চীন এই দুই আঞ্চলিক পরাশক্তি যদি কোনো ভুখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে সেই স্বপ্ন একদিনও সফল হবে না। অথচ আমরা সেই স্বীকৃতিহীন ভূখণ্ডের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি।
চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড এই তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে। কিন্তু কেউই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করছে না, কারণ তাদের সরকারগুলো রাজনৈতিক, শক্তিশালী এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। তারা জানে,অন্য দেশের অভ্যন্ত রীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা কতটা বিপজ্জনক। কিন্তু আমাদের দুর্বল সরকার,যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি শক্তির দয়ার ওপর নির্ভর করে, তারা এখন আরেকটি দেশের বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে! এটা কেবল কূটনৈতিক আত্মহত্যা নয়, বরং গোটা জাতিকে অনিশ্চিত যুদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতা এবং অর্থনৈতিক ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া।
বিশ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেন এমন জুয়া খেলা হচ্ছে? কার স্বার্থে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংস হতে যাচ্ছে? যেখানে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা, হাজার হাজার কোটি টাকার পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগ রয়েছে—সেখানে যদি আগুন জ্বলে, রক্ত ঝরে, তাহলে দায় নেবে কে?
সরকার যদি এখনই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না। জনগণ জেগে উঠবে, এবং বিশ্বাসঘাতকদের নির্মমভাবে বিচার করবে। দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। জাতির সামনে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করো নইলে বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।