স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটা সময় ছিলো যখন সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে দাপ্তরিক কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে সাহস করে উঠতে পারতো না সাধারণ মানুষরা। কিন্তু সময় পাল্টেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী প্রায় সকল কর্মক র্তারাই যথেষ্ট আন্তরিক।
আর এই আন্তরিকতার কারনে সাধারণ মানুষদের সেবা পৌছে যাচ্ছে তাদের দোরগোড়ায়। এমন এক কর্মকর্তার কথা বলবো আজ। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি। যিনি ২৮তম বিসিএস এ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে তিনি ঝালকাঠি জেলাধীন নলছিটি উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
এই উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা সরকারী কৃষি সহায়তা পেয়েছে সর্বোচ্চ। উপজেলা কৃষি অফিসকে রেখেছে দূর্ণীতি মুক্ত। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে সর্বদা। কথা হয় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো: হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, আগে আমরা উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে কথা বলতেই সাহস পেতাম না।
কিন্তু বর্তমানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা খুব আন্তরিক সরকার থেকে দেয়া সকল সুযোগ সুবিধাই তিনি পৌছে দিচ্ছেন আমাদের দোরগোড়ায়। শুধু বরাদ্দের সার নয়। তিনি এখানে আসার পর থেকেই আমরা কৃষিতে ব্যবহার করার অধিকাংশ উপকরণই তার মাধ্যমে পেয়েছি। তিনি এখানে আসার পর থেকে উৎপাদন ক্ষমতায়ও এগিয়ে গিয়েছে নলছিটি উপজেলা।
আর তার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখায় গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠ পর্যায়ে সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখায় শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ঝালকাঠি জেলার মধ্যে উপজেলা কার্যালয় প্রধান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান এই কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা থেকে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) পদে পদোন্নতি পেয়ে খুব শীঘ্রই নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন। গতকাল নলছিটি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তাকে বিদায়ী সংবধনা জানানো হয়। তার বিদায় সময়ে কর্মকর্তাদের মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।