December 11, 2023, 4:32 pm
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভা গোপালগঞ্জের বোড়াশীর মিটু মেম্বারের তান্ডবে গুরুতর আহত-১৬ সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল আনোয়ারে ইন্তেকাল আইজিপির শোকসভা জাজিরা নির্বাচন অফিস যেনো ঘুষ-বাণিজ্যের কলঘর বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি’র ২০২৩-২০২৫ নির্বাচন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বৈধ: হাইকোর্ট ময়মনসিংহে ওসি শাহ কামাল আকন্দ এর বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র‍্যাব দৌলতপুরে এক শতাংশ ভোটার সমর্থন দিতে পারেনি তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

উলপুরে পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে

Reporter Name

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের উলপুর পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে কয়েকটি পদে নিয়োগদেওয়া হয়েছে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর,নিয়োগে বড় রকমের দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য করেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি মৃনাল কান্তী রায় পপা চৌধুরী বললেন ভুক্তভোগীরা।বিদ্যালয়ের সভা পতি চাকুরী ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিলেও চাকুরী দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান তারা।

চাকরি তো হয়নাই তারপর টাকা ফেরৎ দিতে গড়িমিসি করছেন সভাপতি বললেন ভুক্তভোগী প্রার্থীরা,তারা আরো বলেন পপা রায় চৌধুরী সাথে কথা বলে চাকরীটা নিশ্চিত পাবে বলে তার এক বিশ্বস্ত কর্মচারির নিকট টাকা দিয়েছে।
এ ব্যপারে উলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম বলেন আমি বিদ্যালয়ের পরিছন্ন কর্মী হিসাবে পরিক্ষা দিয়ে ছিলাম আমি পরিক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম,

বিদ্যালয়ের সভাপতি পপা রায় চৌধুরী পরিক্ষার সময় হলে এসেছিল সে আমাকে বলেছিল তোর হাতের লেখা অনেক সুন্দর সমস্য নাই তোর চাকরিটা হবে।সে আমার কাছ থে কে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছে।সে আরো বলেন,পপা রায় চৌধু রী আমাকে বলেছিল তুই ছাত্রলগের কর্মী তুই আমাদেরই লোক এই কারনেই তোর কাছ থেকে বিদ্যালয়ের খরচ-খরচা বাবদ ২ লক্ষ টাকা নিলাম।

টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়া উলপুরের সেলিম মোল্লা বলে নআমি একজন এতিম, আমার বাবা মারা গেছে ৭ বছর আ গে। আমি উলপুর পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকরী কাম কম্পিউটার অপারেটরে চাকরী বাবদ পপা রায় চৌধু রীর নিকট আমার শেষ সম্বল ২ বিঘা জমি বিক্রয় করেপ্রায় দেড় বছর আগে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম।আমি বিদ্যাল য়ের নিয়মানুজায়ী লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা দিয়েছিলাম লিখিত পরিক্ষায় আমি প্রথম হয়েও চাকুরিটা আমি পেলাম না।

সে রাশেদ শেখ নামক এক প্রার্থীর নিকট হতে বার লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে চাকরী দিয়েছে। আজ আমি নিস্ব,আমার টাকাটাও সে ফেরৎ দিচ্ছেনা সে পালিয়েছে,এলাকায়তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি আমার টাকাগুলো ফেরৎ চাচ্ছি।বিদ্যালয়ের এই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগের ব্যপারে পূনঃ তদন্ত ও বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।

নিয়োগে দূর্নীতি ও বাতিলের দাবীতে উলপুর উত্তরপাড়ার শিপন মোল্লা বলেন,পপা রায় চৌধুরীর সাথে কথা বলেই আমি আট লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়েছি তারই এক কর্মচা রির নিকট নিরাপত্তা প্রহরীর চাকুরী বাবদ।আমাকে চাকুরী টা না দিয়ে আরো বেশি টাকা খেয়ে চাকরীটা দিল কুদ্দুস খানকে। আমি আমার টাকাগেুলো ফেরত নেওয়ার জন্য পপা রায় চৌধুরীর উলপুরের জমিদার বাড়িতে যাই ওখানে তাকে না পেয়ে তার গোপালগঞ্জের বাসায় যাই,সেখানেও তাকে পাই নাই। আমি আমার টাকা গুলো ফেরৎ চাই,সে ই সাথে এই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিই।

এ ব্যপারে আরো এক ভুক্তভোগী প্রার্থী মাসুম মোল্লা গনমা ধ্যম কর্মীদের নিকট বলেন,আমি অফিস সহকরী পদের এ কজন প্রার্থী ছিলাম। আমি ও আমার বাবা পপা রায় চৌধুরী র সাথে কথা বলে তার উলপুরের জমিদার বাড়ি গিয়ে ৪ লক্ষ দিয়ে আসি,চাকরিটা হলে তাকে আরো ছয় লক্ষ টাকা দিতে হবে কিন্তু সে আমাকে চাকুরীটা না দিয়ে চাকুরিটা দি ল রাশেদ শেখ নামক অন্য একজনেকে।শুনেছি তিনি ঐ প্রার্থীর নিকট হতে বার লক্ষ টাকা নিয়েছে। মাসুম মোল্লা আরো বলেন,পপা রায় চৌধুরী যাদের কাছ থেকে চাকরি দেবার কথা বলে টাকা নিয়েছে,সকলের সাথে সে প্রতারনা করেছে। আমরা এই আবৈধ্য নিয়োগ বাতিল চাই সেই সাথে আমাদের টাকা ফেরৎ চাই।

সরেজমিনে গেলে জানা যায় গত ১৯শে সেপ্টেম্বর গোপা লগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের উলপুর পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক কর্মকর্তা,উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বো র্ডের ডিজির প্রতিনিধি,উলপুর পিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাব ক কমিটির এক সদস্য সর্বমোট ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের কয়েকটি পদের জন্য প্রার্থীদের মাঝে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,বিদ্যালয়ের এই নিয়োগ পরিক্ষা সুধুই লোক দেখানো। মূলত এই নিয়োগ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এলাকাবাসীর একটাই দাবী ভুক্তভোগীদের নেওয়া টাকা ফেরত ও অবৈধ্য নিয়োগ বাতিল।

এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি মৃনাল কান্তী রায় পপা চৌ ধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সারাজীবন এই স্কুলের স্বার্থে কাজ করেছি,বিদ্যালয়ে যখন যা প্রয়োজ ন আমার সাধ্র মত দিয়েছি। আজ আমার বিরুদ্ধে উলপুর এলাকার কিছু লোকজন বদনাম উঠাইছে যে আমি টাকা নিয়েছি বিদ্যালয়ে চাকুরি দেবার কথা বলে,ব্যপারটা নিছক চক্রান্ত।আমি কারোর কাছ থেকে টাকা নেই নাই,নিয়োগে কোন দূর্নীতি বা ঘুষ বানিজ্য হয় নাই।ওরা আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষে এই সকল বানোয়াট গল্প সকলকে শুনাচ্ছে।

এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিকশিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম। প্রত্যেকটি পদে জন্য একজনই নি য়োগ পাবে,তাই হয়েছে,এক পদেতো আর তিন জনকে নে ওয়া যাবে না।আমরা আমাদের নিয়মানুজায়ী সবকিছুই ক রেছি।সভাপতি কি করেছে তা আমরা জানিনা,টাকা পয়সা র লেনদেনের ব্যপারে আমরা কিছুই জানিনা,

এ ব্যপারে আমরা জড়িত নই,বিদ্যালয়ের নিয়োগ দূর্নীতি ও ঘুঘ বানিজ্যর ব্যপারটি সমগ্র উলপুর এলাকায় ছড়িয়েপড়ে ছ।সাধারন মোনুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ধারন করেছে ব্যপারটি সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন সহ পূন তদন্ত করার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page