নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
উলিপুরে দুর্বৃত্তরা ৫০টি সুপারির গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।(০৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগি সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে মন্ডলপাড়া গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলী (৫৫)মোঃ বাবু মিয়া (৫০)মোঃ আবুল হোসেন (৪৫)মোঃ ছামছুল হক (৪২)মোঃ সাদেক আলী (৪০) সকলের পিতা-মৃত কাছুয়া শেখ,মোঃ মনজু মিয়া (৪২)পিতা-মৃত শাহাম্মদ আলী,
মোঃ আবু বক্কর (৫৫)পিতা-মৃত অছির গাড়িয়াল, মোঃ আঃ জলিল (৩৫) মোঃ নুরনবী মিয়া (৩০) উভয় পিতা মোঃ আবু বক্কর,মোঃ দুলু মিয়া (৪৫)পিতা-মৃত আজগার আলী,মোঃ কামরুল হাসান (২৫) পিতা মোঃ দুলু মিয়া,মোঃ সবুজ মিয়া (৩২) মোঃ সাজু মিয়া (২৮) উভয় পিতা মোঃ বাবু মিয়া,মোঃ লানজু মিয়া (৩৮) পিতা মোঃ ইজুমদ্দিন,মোঃ আতা মিয়া (২৪)
মোঃ আরিফ হোসেন (৩০) উভয় পিতা মোঃ হাকিম আলী,মোঃ উজ্জল মিয়া (৫২)মোঃ দুলাল মিয়া (৪৫) উভয় পিতা-মৃত নুরুল হোসেন,মোঃ রাসেদ মিয়া (৩৩)পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম,সাং দুর্গাপুর মন্ডলপাড়া,ইউনিয়ন দুর্গাপুর, থানা উলিপুর,জেলা কুড়িগ্রাম গনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
আসামীদের সহিত আমার জমি জমার বিষয় সহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়া বিরোধ সহ মামলা মোকদ্দমা চলিয়া আসতেছে।জমির তফসিল,জেলা কুড়িগ্রাম, থানা উলিপুর,মৌজা,দুর্গাপুর,জেএলনং খতিয়ান নং ১৯৫,১০৩৯,১৯৬,১০৪২,দাগ নং ২৬২,২৬৩,৩৯০,৩৮৯ মোট জমির পরিমান ৮৩
শতক মাত্র।এমতাবস্হায় ঘটনার দিন ০৭/০৯/২২ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমার ভাতিজা মোঃ সৈয়দ আলী (৪৫) পিতা- মৃত দেলোয়ার হোসেন,পায়ে হেটে স্থানীয় দুর্গাপুর বাজার থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া। মোঃ আবু বক্কর আসামীগনের বাড়ীর সামনে রাস্তায়
উক্ত তারিখ সকাল অনুমান ০৯.১০ ঘটিকার সময় পৌছামাত্রই উপরোক্ত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে ধারালো ছোড়া বল্লম,কুড়াল লোহার বড় বাশেঁর লাঠি,বটি কেটা ইত্যাদি,দেশীয় মারাক্তক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া একই উদ্দেশ্যে তথায় আসিয়া পথরোধ করে অন্যায় আটক করিয়া মালপিট করার চেষ্টা করে।
ঐ সময় আমি সহ কতক সাক্ষীগন আসিয়া আমার ভাতিজাকে রক্ষা করিলে আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া অনধীকারে আমার তফসিল বর্নিত জমিতে প্রবেশ করিয়া জমির সীমানায় থাকা সীমানার বেড়া টাটি ভাংচুর করিয়া অনুমান ৩০.০০০/-টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
ঐ সময় আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন পরবর্তীতে আমার তফসিল বর্নিত জমিতে থাকা সুপারি গাছ ও অন্যান্য গাছপালা কাটিয়া দিবে মর্মে হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।
এবং দিবাগত ০৮/০৯/২২ইং তারিখ ভোর অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় তফসিল বর্নিত জমিতে অনুধীকারে প্রবেশ করিয়া সুপারির গাছ ৫০টি সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছপালা কাটিয়া এবং ভাংচুর করিয়া মোট অনুমান ৫০.০০০/-টাকার ক্ষতিসাধন করেন।
ঔ সময় আমি সহ কতক সাক্ষীগন আসামীদের উক্ত অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদান করিলে সকল আসামীগন তাহাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র উচিয়া জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঘটনার সাক্ষী মোঃ মতিয়ার রহমান,
মোঃ সৈয়দ আলী উভয় পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন,মোঃ আখের আলী পিতা মোঃ হোসেন আলী,মোঃ হামিদুল ইসলাম,পিতা-মৃত নুরুল হোসেন,এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগি মিন্টু মিয়া উলিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আরো বলেন,ঘটনার দিন আমার জমিতে বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরা-ঘারি খুলে নিয়ে যায়।বিবাদী গনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে বলে তাদের ঘিরা-ঘারি তারাই খুলে নিয়ে যায় আর দোষ চাপায় আমাদের উপর,পরে গোপন ভিডিওতে দেখা যায়,কাছু সরকারের মেয়ে অশোনা,
সামছুল এর মেয়ে হাসি ও সাদ্দেকের স্ত্রী নাসরিন সহ জমিতে বাউন্ডারি দেয়া ঘিরা-ঘারি খুলে নিয়ে যায় তারা। তিনি আরো বলেন,প্রভাবশালী এই ব্যক্তি আইন কে অবমাননা করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ছিনিয়ে নিতে চাই এই জমি সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের উপরে বিভিন্ন পাঁয়তারা চালিয়ে আসতেছে তারা।আইন নয় পেশিশক্তি ক্ষমতাই এখন সব সেই জন্য ফয়সালা হচ্ছেন না দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,এই জমাজমির দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলে আসতেছে।দলিল মোতাবেক এই জমি মিন্টু মিয়ার কিন্তু জোরপূর্বক জমি নিতে চায় মৃত কাছুয়া শেখের পুত্র মোঃ সেকেন্দার আলী,ছামছুল হক,আবুল হোসেন,বাবু মিয়া,সাদেক আলী,এই জমির মামলায় রায় পেয়েছিলেন মিন্টু মিয়া,
বিবাদী পরে আবার ইনজেকশন জারি করেন সেটারও রায় পান তারা।পরে রায় পেয়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার মাতববরদের নিয়ে তাদের জমিন আমিন নিয়ে এসে জমি মাপমাপি করেন।
পরে সেটাও তারা মানতে রাজি নন পরে চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকে একবার নয় তিন বার পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য নোটিশ পাঠায় তাতো মিমাংসার জন্য যাননি তারা এভাবেই চলছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।