কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মোঃশাহজাহান খন্দকার
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নে ৪৩ দিনের নবজাতক কে রেখে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।সোমবার (১০ অক্টোবর) শ্বশুর বাড়ির অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয় এক সন্তানের জননী স্বপ্না বেগমকে বলে আশঙ্কা এলাকা বাসির।
কাবিননামা সূত্রে জানা যায়,গত ৩০-০৭-২০২১ইং তারিখ দলদলিয়া ইউনিয়ন কদমতলা নিবাসী বদিউজ্জামান এর পুত্র নুর আলমের সহিত উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পাকার মাথার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল জব্বারের নাতনী মোঃ সোলেমান হোসেনের কন্যা সপ্না বেগমের (২০) পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। পারিবারিক জীবন যাপন চলাকালীন স্বপ্না বেগমের কোল জুড়ে আসে ফুট ফুটে একটি কন্যা সন্তান।
স্বপ্না বেগমের কন্যা সন্তান হওয়াতে নারাজ ঘাতক স্বামী নুর আলম সহ তার পরিবার। কন্যা সন্তান জম্ম দেওয়ায় শুরু হয় স্বপ্না বেগমের উপর অমানবিক নির্যাতন। পরিবারের লোকজন ও ঘাতক নুর আলম বিভিন্ন রকম নির্যাতন চালাতে থাকে স্বপ্না বেগম এর উপর, নির্যাতনের অবসান ঘটে আজকে স্বপ্না বেগম এর নির্মম মৃত্যুর পর৷ স্বপ্নার স্বামী এবং শশুর বাড়ির অন্যান্য সকল সদস্য ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালাতক।অসহায় ৪৩ দিনের নবজাতক কন্যা শিশুটির কি হবে এ প্রশ্ন স্থানীয় এলাকাবাসীর।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী সরকার বলেন, শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি পুলিশি তদন্তের পর বিষয়টি প্রমাণ হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।